ব্যানার্জি পরিবারবাদ ও চাচা ফিরহাদকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর!
নিউজ ডেস্ক::নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে হনুমান জয়ন্তী উদযাপন এবং ভারতীয় জনতা পার্টির ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ফের তিনি অভিযোগ করেন রামনবমীর মিছিলে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, সংখ্যালঘুদের চাকরি দিতে পারেনি, শিক্ষা দিতে পারেনি। সেই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক চলে যাচ্ছে, প্রমাণ করে দিয়েছিল সাগরদিঘি। তারপরেই হামলার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি দাবি করেছেন, এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে চুরি-দুর্নীতি বড় ইস্যু। তৃণমূল মানেই চোর, চোর মানেই তৃণমূল।
যাবতীয় ছলা-কলা ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া বাঁচবে না পশ্চিমবঙ্গ। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের ১৭ টি এলাকার প্রায় ২০ হাজার লোক বাইরে কাজ করে।
এদিন রাজ্যপালের কলকাতায় ঘুরে দেখা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সাংবিধানিক ক্ষমতা থাকলেও, প্রশাসনিক ভাবে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি সরকারকে পরামর্শ দিতে পারেন এবং কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে পারেন। কিন্তু কোনওটাই তিনি নিজে করতে পারেন না।
এদিন বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রী ফের একবার পরিবারবাদের প্রতি তোপ দেগেছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০১৪-তে ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী পরিবারবাদ আর জাতপাতকে তুলে দিয়েছেন। তবে তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যে পরিবারবাদ ও তোষণের রাজনীতি চলছে। বিজেপি এই পরিস্থিতি থেকে রাজ্যকে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পিসি-ভাইপোর সঙ্গে চাচা ফিরহাদ হাকিম এবং সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মতো নেতারা পরিবারবাদের সঙ্গে তোষণের রাজনীতি করছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প অনুযায়ী ব্যানার্জি পরিবারবাদ এবং সীমাহীন তোষণ ধ্বংস করে রাষ্ট্রবাদ এবং বিকাশকে জয় যুক্ত করা হবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া রাজ্যে ভোট সম্ভব নয় বলে এদিন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। জঙ্গলমহলে কুর্মি সমাজের সংরক্ষণের দাবি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তাদেরকে ভরসা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কারণে সেখানকার অনেক আসনে জয় পায় তৃণমূল। তিনি বলেন, সমস্যা তৈরি করার পিছনে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
বিরোধী দলনেতা বলেছেন, এখন তৃণমূলের লোক দেখলেই সাধারণ মানুষ চোর বলে তাড়া করছে। মুর্শিদাবাদের বরঞায় বছর ৭০-এর এক ব্যক্তি দুয়ারের দিদির দূতকে তাড়া করেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
হনুমান জয়ন্তীতে আধাসামরিক বাহিনী নামানো প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, রামনবমীর পরে হনুমান জয়ন্তীর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক শ্রেণির জনগণকে উসকেছেন। সেই কারণে আদালত তাঁর ওপরে ভরসা রাখতে পারেনি। হনুমান জয়ন্তী পালনের জন্য যে নির্দেশিকা কলকাতা পুলিশ দিয়েছে, তা যেন সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়, তা নজরে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।