অবরোধ তুলে নিলেন কুড়মিরা!
নিউজ ডেস্ক::৫ দিন ধরে লাগাতার রেল অবরোধ। অবশেষে উঠল রেলরোকো। তবে নবান্ন থেকে যাওয়া মুখ্যসচিবের চিঠিতে আলোচনায় বসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতা। তবে সাধারণ মানুষের স্বার্থে অবরোধ উঠলেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কুড়মি আন্দোলনের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো জানিয়েছেন, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। সেকারণেই তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে প্রশাসনের কাছ থেকে তাঁরা কোনও সহযোগিতা পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ১ এপ্রিল মাস থেকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিহার, ঝাড়খণ্ডের একাধিক স্টেশনে রেল অবরোধ করছিলেন কুড়মিরা। কুড়মি জাতিকে তপশিলি উপজাতির তালিকা ভুক্ত করা সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ একাধিক ইস্যুতে রেল অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। ১ এপ্রিল থেকে ঘাঘরা ঘেরা অর্থাৎ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তাঁরা।
এই আন্দোলনের জেরে গত পাঁচদিন ধরে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া রুটের একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। গত ৫ দিনের অবরোধের জেরে গোটা রাজ্যে রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। একাধিক লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাজধানী এক্সপ্রেস , শতাব্দী এক্সপ্রেস সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ায় ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে ট্রেন চলাচল।
শনিবার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছে কুড়মি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। সারা রাত আলোচনা করেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। মুখ্যসচিবের চিঠিও ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রেলযাত্রীদের ভোগান্তি বন্ধ করতে রাজ্য সরকারকে রেলের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাতে রাজ্য পুলিশ এবং জিআরপি দিয়ে অবরোধ তোলার কথা বলা হয়েছিল। তেমন প্রয়োজন হলে আজ আরপিএফও নামানো হোক বলে জানানো হয়েছিল।
তবে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, রাজ্য সরকার অবরোধ তোলার সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এবার রেলের তরফে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাতে রাজ্য সরকার কোনও বাধা দেবে না বলে নবান্ন থেকে চিঠি দিয়ে রেলকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই অবরোধ তোলার কথা ঘোষণা করে কুড়মি সম্প্রদায়। প্রচণ্ড গরম এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই এই রেল অবরোধ প্রত্যাহার করা হল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।