বন্যার ত্রানের টাকা বিতরণে দুর্নীতি!
নিউজ ডেস্ক::মালদহের বন্যার ত্রানের টাকা বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ! আর সেই অভিযোগে Comptroller and Auditor General of India অর্থাৎ সিএজি’কে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আর সেই শুনানিতেই এহেন নির্দেশ আদালতের। শুধু তাই নয়, কীভাবে কোথায় ওই টাকা গিয়েছে তা সিএজিকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে এই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৭ সালের ওই জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা যায়। জেলার প্রায় ১০২টি অঞ্চল আংশিক বা সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই বন্যার ফলে।
রাজ্য ত্রাণে এই ১০২ টি অঞ্চলের জন্যে ৫৮ কোটি টাকা দেয়। কিন্তু সেই টাকা বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ। এমনকি মোটা অঙ্কের এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ক্ষতিগ্রস্থদের অধিকাংশ মানুষের কাছে সেই টাকা যায়নি বলেও অভিযোগ।
আর এই সমস্ত বিষয়কে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম। এই সংক্রান্ত মামলার দীর্ঘ শুনানি হয়। আর সেই শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাতে CAG কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।
শুধু তাই নয়, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিতও এদিন উঠে এসেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে।
মামলাকারীর আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং শামিম আহমেদ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, চাঁচল সহ ১২ টি ব্লক ব্যাপক ভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে একটি তালিকা ক্ষতিগ্রস্থদের তৈরি করা হয়। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই তালিকা বদলে যায় বলে দাবি আইনজীবীর।
শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই তাতে বদল হয় বলে দাবি। আইনজীবীরা বলছেন, ভুয়ো তথ্য দিয়ে একাধিক ব্যক্তির নাম দেখিয়ে টাকা দেওয়া হয়েছে। ভিনরাজ্যের মানুষেরাও ক্ষতিপুরণের টাকা পেয়েছে বলে অভিযোগ।