গৃহবধু মৌসুমী সাহার জীবন সংগ্রাম!
নিউজ ডেস্ক::আশ্রমপাড়ার গৃহবধু মৌসুমী সাহা। প্রচুর লড়াই, প্রচূর সংগ্রাম করে আজ তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী।ছোটবেলার থেকেই তিনি গানের জন্য পাগল ছিলেন। দুই ভাই এবং তিনি ছোটবেলা থেকে আহলাদেই মানুষ হয়ে ছিলেন।তিনি জানালেন,গান আমাকে পাগল করে দিত।তাই যেভাবেই হোক আমি গান শুনতে এবং গান শিখতে চাইতাম।আমার ইচ্ছা দেখে আমার মা আমাকে এক জায়গায় ভর্তি করে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর শশুর বাড়িতে এসেও প্রচুর লড়াই করেছি আমি গানের জন্য। শশুরবাড়িতে পরিবেশ আমার জন্য একেবারেই অনুকুল ছিল না। আমার শাশুড়ি মা আমাকে কিছু না বললেও আমার গান শেখানো পছন্দ করতেন না।অনেক লড়াই করেছি আমি এই গানের জন্য।গান শেখাতে ভালোবাসি আমি।আমি নিজে এখন প্রচুর ছাত্রীর শিক্ষিকা।
আমার এক ছেলে এবং এক মেয়ে সঙ্গিত জগতের না হলেও সঙ্গিতের সাথেই জড়িত। ওরা ওদের পেশা বেছে নিয়েছে। প্রথম থেকেই আমি রবীন্দ্রসঙ্গিত এবং নজরুলগীতির ভক্ত।আজও আমার সাথে আমার রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নজরুলগীতি আছে। আছে হারমোনিয়াম এবং তবলা। যেগুলোর সাহায্য না পেলে আজ আমি কিছুই করে উঠতে পারতাম না। আজ আমি প্রতিষ্ঠিত।সঙ্গিত আমাকে পরিচয় দিয়েছে।তাই এটাও আমার জীবনের একটা অঙ্গ।আমি গর্বিত যে আমি গানের জগতের একজন শিল্পী। আমার পরিচয় একজন শিল্পী হিসাবে।আমি সঙ্গিত শেখাই। আমার জীবন এবং সঙ্গিত মিশে গেছে একই ভাবে এবং একই সাথে। প্রচুর কষ্ট পেয়েছি,আমি লড়াই করে নিজের জায়গা করে নিয়েছি। অপমান এবং অপবাদ মাথায় নিয়ে গান করেছি, গান শিখিয়ে গেছি।এখন আমি প্রতিষ্ঠিত।তাই আমি গর্বিত আমার সঙ্গিতকে নিয়ে,জানালেন মৌসুমী সাহা। তার স্বামী প্রদীপ সাহা একজন ব্যবসায়ী। সংসারের চাপ সামলিয়ে তিনি গান করে চলেছেন।গান শিখিয়ে চলেছেন,এটাই বাস্তব।জানালেন তিনি।