“তৃণমূল নেতাদের জন্য আরও জেলখানা তৈরির দরকার”: অধীর চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক::তৃণমূল নেতাদের জন্য আরও জেলখানা তৈরির প্রয়োজন বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে চোরেরা ধরা পড়তে শুরু করেছে। কলকাতা, হুগলির পর মুর্শিদাবাদে হানা দিয়ে তৃণমূলের ঘরে বড়ো চোর ধরা পড়েছে। তাই জেলায় জেলায় আরও তল্লাশি দরকার বলে মনে করেন তিনি।
অধীর চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের যদি জেলায় জেলায় তৃণমূলের চোরদেরকে খোঁজ করা হয়, তবে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় চুরি হয়েছে। হুগলি, কলকাতা পাওয়া গেছে। এখন মুর্শিদাবাদ জেলাতেও পাওয়া গেল। চুরি তো সর্বত্র হয়েছে। তাই কয়েকটি জেলখানা তৈরি করা দরকার।
অধীরের কথায়, অদূর ভবিষ্যতে তৃণমূলের সব নেতা জেলে যাবে। দিদির আর কিছু করার নেই। চুরিটা সর্বত্র হয়েছে, তা প্রমাণিত। চুরিটা ব্যাপকভাবে হয়েছে, তা প্রমাণিত। চুরিটা তৃণমূলের লোকেরা করেছে, তাও প্রমাণিত। শনিবার বহরমপুরে এই মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।
অধীর চৌধুরী বলেন, সিবিআইয়ের ভয়ে একজন বিধায়ক মোবাইল ছুড়ে জলে ফেলে দিয়েছে। তাহলেই ভাবুন, চুরিটা কোন মাত্রার। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা প্রমাণ লোপাট করতে জলে ফেলে দেন মোবাইল। এবার সিবিআই ঠিক করুক কী করবে। তবে চুরি যে মারাত্মকভাবে হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শুক্রবার থেকে রাতভর সিবিআই হানা দিয়েছে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। শনিবারও সিবিআই তল্লাশি চলছে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খোলেন মুর্শিদাবাদের রবীন হুড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার বহরমপুরে তিনি বাংলার মানুষকে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় মানুষ দেখুন তৃণমূলের কীর্তি, দেখুন বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষের আশীর্বাদ ও দোয়া নিয়ে যাঁরা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তাদের যদি এই হাল হয়, তাহলে এর থেকে দুর্ভাগ্য আর কিছু নেই। কাদেরকে মানুষ জনপ্রতিনিধি করেছেন, একবার দেখুন।
অধীর বলেন, অপরাধীরা যে কাজ করেন, সেই কাজ করছেন একজন জনপ্রতিনিধি। প্রমাণ লোপাট করতে মোবাইল জলে ছুড়ে ফেলছেন। এবার এদের বিদায় দেওয়ার সময় এসেছে। সবাই বিরাট টাকার মালিক, তাও এদের লুট করতে হবে, চুরি করে খেতে হবে।
অধীর বলেন, দিদির আমলে দিদির দলে লোকেদের চৌর্যবৃত্তি স্বভাবটা প্রকট হয়ে উঠেছে। অভাবে নয় স্বভাবে এরা চোর্যবৃত্তি শুরু করেছে। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা লুঠপাট করা, অবৈধ পথে নিজের সম্পত্তি বাড়ানো, দুর্নীতির সঙ্গে সহবাস করা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী।