মতুয়াদের নিয়ে কোনো স্পষ্ট বার্তা নেই শাহের মুখে
নিউজডেস্ক:: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটা শব্দও খরচ করলেন না এবার বঙ্গ সফরে। প্রকাশ্য জনসভায় তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন দিল্লির নজর লোকসভা ভোটেই। কিন্তু তা-ই যদি হয়, সিএএ নিয়েও কেন কোনো সুস্পষ্ট বার্তা দিলেন না অমিত শাহ, সেই প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই।
অমিত শাহ বঙ্গ সফরে এসে এবার সিএএ নিয়ে নতুন করে কোনো আশ্বাস দিয়ে যাননি। অমিত শাহের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে প্রশ্ন করেছিলেন, কবে সিএএ হবে। প্রতি উত্তরে শাহ শুধু জানিয়েছিলেন হবে।
অমিত শাহ নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি সিএএ নিয়ে। এর ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা ভোটে মতুয়া মহলে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বিজেপি এখন পর্যন্ত সিএএ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পেয়েছে মতুয়াদের।
চার বছর হতে চলেছে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি বিজেপি। এই অবস্থায় ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক বিজেপি ধরে রাখতে পারে কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাহের মুখে নির্দিষ্টি কোনো আশ্বাস না পেয়ে মতুয়াদের পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুরও কার্যত হতাশ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে উপেক্ষা করে আসন্ন লোকসভা ভোটের টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলে কিছু আসন নিশ্চিত হত, তা দিয়ে যাননি তিনি। যতই তিনি হিসেব কষে বুঝিয়ে দিন, মতুয়া ভোট সরে গেলে বিজেপির কী হাল হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই।
শুধু তৃণমূলকে নিশানা করে তাঁদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে যে জয়ের কড়ি মিলবে না তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপির নেতারা। তাই কোর কমিটির বৈঠকে অমিত শাহের দেওয়া ৩৮ আসনের টার্গেট (জনসভায় বলেছিলেন ৩৫) বঙ্গ বিজেপির কাছে বড়ো বোঝা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলেছে, এই মুহূর্তে ভোট হলে বিজেপি বড়জোর পাঁচ থেকে ছ’টি আসন পাবে। সেখানে ৩৮ আসনের টার্গেট, বঙ্গ বিজেপির কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই। তার উপর মতুয়াদের নিয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। সংখ্যালঘুরা বিজেপির বিপক্ষে, এই অবস্থায় কী করে তৃণমূলকে হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছবে বিজেপি, কঠিন অঙ্ক বঙ্গ নেতৃত্বের সামনে।