অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ বিশ্বভারতীর
নিউজ ডেস্ক : বহুদিন ধরে চলা বিতর্ক আরো ঘনীভূত হলো বুধবার। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অভিযোগ অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর কিছু জমি দখল করে আছে। সমস্যা তা নিয়েই। ১৯ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবনে নোবেলজয়ী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিতর্কের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই নিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল তাকে। কিন্তু গতকাল অমর্ত্য সেন বা তার আইনজীবী গোঁরাচাদ চক্রবর্তী কেউই সেই শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় এবার কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত এবং হুঁশিয়ারি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। এখন দেখার এর পরে বিষয়টি কোন দিকে যায়। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি যতটা না অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর তার থেকেও বেশি হয়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রী বনাম বিজেপি।
সাধারণ মানুষেরা বলছেন, এই জমি বিতর্কের মধ্যে অকারণে মুখ্যমন্ত্রীর প্রবেশ করা উচিত হয় নি। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কর্মসচিব ও এস্টেট অফিসারের তরফে ৬ মে’র মধ্যে বিশ্বভারতীর প্লট নম্বর ২০১ উত্তর-পশ্চিম কোণে অর্থাৎ এল আর প্লট নম্বর ১৯০০/২৪৮৭ সুরুল মৌজার ১৯০০ জেএল নম্বর ১০৪ পাবলিক সম্পত্তির উপর অনুমোদিত দখল জমি খালি করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি খালি না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে কেন বিষয়টি আদালতে ফয়সালা হচ্ছে না।
তবে এই বিষয়ে ইতিমধ্যে অমর্ত্য সেন গত ১৭ এপ্রিল বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এবং এস্টেট অফিসারকে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন, “শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাড়ী যা ১৯৪৩ সাল থেকে আমার পরিবারে দখলে এবং আমি নিয়মিত ব্যবহার করে আসছি। পারিবারিক ভিটে জমির ধারক আমি এবং এটি হস্তান্তর করা হয়েছিল। আমার বাবা আশুতোষ সেন এবং মা অমৃতা সেনের মৃত্যুর পরও দীর্ঘ ৮০ বছর জমির ব্যবহার একই রয়ে গিয়েছে। জমি হিজরার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত কেউ এই জমির অধিকার দাবি করতে পারে না। প্রশাসনকে তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।” এখন দেখার কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।