বনধে প্রবল উত্তেজনা শিলিগুড়িতে
নিউজ ডেস্ক::বনধ ঘিরে প্রবল উত্তেজনা শিলিগুড়িতে।আজ সকাল থেকেই বিজেপির ডাকা উত্তরবঙ্গ বনধ কে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিলিগুড়ি এবং তার আশেপাশের এলাকা জুড়ে। হিলকার্ড রোডে সরকারি বাস আটকে দেয় বিজেপির সমর্থকেরা।বিজেপির সমর্থকেরা আজ সকাল থেকেই গোটা শিলিগুড়িতে বেড়িয়ে যান এবং বনধ এর সমর্থনে স্থানীয় মানুষকে দোকান এবং বাজার বন্ধ করবার নির্দেশ দেন।বিজেপির সমর্থকেরা ডাবগ্রামে বনধ এর সমর্থনে এক বিশাল মিছিল বের করে।
আজ বিজেপির ডাকা উত্তরবঙ্গ বনধ এর জোরে এলাকাজুড়ে মানুষের সংখ্যা ছিলো একেবারেই কম।একেবারে প্রয়োজন না থাকলে রাস্তায় কেউ বের হচ্ছেন না বলা যায়। অপ্রতিকর পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতেও। জলপাইগুড়িতেও বিজেপির সমর্থকেরা রাস্তায় বের হয়ে যান এবং দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। জলপাইগুড়িতে সরকারি বাসের সংখ্যা একেবারেই কম ছিল।যদিও অফিস এবং কোর্ট খোলা এবং স্বাভাবিক ছিল জলপাইগুড়িতে। রাস্তায় সাধারন মানুষের উপস্থিতি একেবারেই ছিল না বললেও চলে।এদিন জলপাইগুড়ি কদমতলায় বিজেপির সমর্থকেরা জোর করে বাস থেকে লোকেদের নামাতে গেলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়।স্থানীয় লোকেদের অভিযোগ,জোর করে হুমকি দিয়ে দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে বিজেপি।
তৃনমুল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সৈকত চক্রবর্তী জানান বিজেপি বনধ এর নামে সাধারন মানুষের মনে ভয়ের সৃষ্টি করতে চাইছে। তৃণমূল তা কোনভাবেই হতে দেবে না। এদিন শিলিগুড়ির খালপাড়াতে বিজেপির সমর্থকেরা বনধ এর সমর্থনে রাস্তায় বসে পড়েন। এগিয়ে আসেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সমর্থকেরা।বিজেপির সমর্থকদের দাবী পুলিশ জোর করে তাদের উপরে লাঠিচার্জ করতে চাইছে। শিলিগুড়ি শহরের এনজেপি ষ্টেশন এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। উত্তেজনা ছড়াতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।
এদিকে মেয়র গৌতম দেব জানান এইভাবে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে সমর্থন পাওয়া যাবে না।বিজেপি এই কাজ করে মানুষের মনে বিশ্বাস আনতে পারবে না। প্রশাসন রাস্তায় নেমে মানুষকে রক্ষা করবে। এদিন সকাল থেকেই শিলিগুড়ি অবরুদ্ধ হয়ে যায় বিজেপি সমর্থকদের কারনে। চারপাশের এলাকা একেবারেই থমথমে হয়ে যায় বনধ এর কারনে।যদিও বিজেপি সমর্থকেরা জানিয়েছেন বনধ একেবারেই শান্তিপূর্ন ভাবেই চলছে।