“দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধর্মযোদ্ধা বিচারপতি গাঙ্গুলি” : অধীর চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক::পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। এদিন কালিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ব্যবহার নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি।
দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে কালিয়াগঞ্জে উদ্দেশ্য যাওয়ার সময় বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন করেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে সরানো নিয়ে রাজনীতি কেন থাকবে?
পশ্চিমবঙ্গের যারা শাসক তারা চেয়েছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা হোক। কারণ বিচারপতি যা রায় দিচ্ছিলেন তা পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতি তথ্যকে প্রকাশ করে দিচ্ছিল। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যারা নেতা-মন্ত্রী ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তিনি একজন অকুতোভয় বিচারপতি বলে বর্ণনা করেন। কোনও কিছুর পরোয়া না করে তিনি নির্যাতিত মানুষকে আইনি সহযোগিতা করার যে উদাহরণ তৈরি করেছেন, বাংলায় সবার কাছে তা অভূতপূর্ব বলেছেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে দুনীতির বিরুদ্ধে ধর্মযোদ্ধা বলেও বর্ণনা করেছেন।
কালিয়াগঞ্জের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলায় আইনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এটা সবাই দেখছেন। নাবালিকার ওপর অত্যাচার ও খুনের পর পুলিশ যেভাবে আচরণ করেছে তা বলার ভাষা নেই। তাতে বোঝা মুশকিল আমরা সভ্য সমাজ না জানোয়ারদের সমাজে বাস করি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নাবালিকাকে খুনের পর এই ধরনের ঘটনা অন্যায়। এটা চিন্তাজনক ঘটনা। বাংলায় আইনব্যবস্থা নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী। সঙ্গে গোটা ঘটনায় মৃতের পরিবার যে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তাতে সমর্থন করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, মৃতের পরিবারও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। কংগ্রেসও সিবিআই তদন্ত চায়।
দিল্লি পুলিশের ব্রিজভূষণ কুমারের বিরুদ্ধে মামলায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, মোদীজি দেশের গৌরবের কথা প্রকাশ করছেন আর তাঁর দলের নেতা যখন এমন কাজ করে তিনি তখন চুপ করে রয়েছেন।