বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর একাধিক ঠিকানায় আয়কর তল্লাশি
নিউজ ডেস্ক::বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়ি সহ একাধিক ঠিকানাতে হানা দিল আয়কর দপ্তর। কৃষ্ণকল্যাণী রায়গঞ্জের বিধায়ক। বুধবার সকালে হঠাৎ করেই বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা বাড়ি।
এমনকি বিধায়কের ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়ির পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি জায়গাতেও আয়কর আধিকারিকরা একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানা সংলগ্ন বিধায়কের দুই ম্যানেজারের বাড়িতেও এই মুহূর্তে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ এহেন তল্লাশি কেন? আয়কর সূত্রে জানা গিয়েছে, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি এবং আয়ের থেকে অনেক কম কর জমা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। এমনকি ভুয়ো সংস্থাও থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্যও রয়েছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি এই বিষয়ে নাকি দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা। আর সেখানে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির নির্দিষ্ট তথ্য আয়কর আধিকারিকরা পেয়েছেন বলে খবর। বেশ কয়েক বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি বলেও দাবি তদন্তকারীদের।
আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান আয়কর দফতরের তরফে শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তল্লাশির পাশাপাশি বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই মুহূর্তে অন্তত ৪০ জনের আয়কর অফিসারদের একটি টিম বিধায়কের বাড়ি, অফিস, কার্যালয়ে একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
তালিকায় রয়েছে দুই ম্যানেজারের বাড়িও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ইডির তরফে বিধায়ককে নোটিশ করা হয়েছিল।
বিধায়কের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি একটি টিভি চ্যানেলকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সমস্ত তথ্যও জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। আর এর মধ্যে বিধায়কের বাড়িতে আয়কর তল্লাশি।
বলে রাখা প্রয়োজন, বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন। আর তা নিয়ে কয়েক মাস আগে শুভেন্দু অধিকারী এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর ঝামেলা হয়। আর সেই সময়ে আয়কর হানার হুমকি নাকি বিরোধী দলনেতা দিয়েছিলেন অভিযোগ করেছিলেন এই বিধায়ক।
আর তা নিয়ে স্পিকারের কাছেও অভিযোগ জানানো হয় বিধায়কের তরফে। যদিও এদিনের আয়কর হানা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কৃষ্ণকল্যানীর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।