জোট নিয়ে ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা কুমারস্বামীর
নিউজ ডেস্ক::কিং মেকার হতে চলেছেন তিনি। অর্থাৎ জেডিএসের হাতেই রয়েছে কে সরকার গড়বে কর্নাটকে তা নির্ধারণ করা। অন্তত বুথ ফেরত সমীক্ষা সেদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে। কংগ্রেস-বিজেপি কোনও রাজনৈতিক দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।
কাজেই সেক্ষেত্রে সরকার গড়তে হলে জেডিএস অর্থাৎ কুমারস্বামীর উপরেই ভরসা করতে হবে তাঁদের। আর এই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন তিনিও। বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসতেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জোট নিয়ে বার্তা দিয়েছেন জেডিএস প্রধান।
তিনি বলেছেন কংগ্রেস এবং বিজেপি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জোটে যেতে তাঁর সমস্যা নেই। তবে তাঁদের মানতে হবে তাঁর দেওয়া শর্ত। কুমারস্বামীই যে কিং মেকার হতে চলেছেন তার ইঙ্গিত দিয়েছে ৭টি এক্সিট পোল। কংগ্রেস এবং বিজেপি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও কংগ্রেস একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্য নিতে হবে কংগ্রেসকে।
কর্নাটকে এবার ত্রিশঙ্কু ফলাফল হতে চলেছে। অদিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। বিজেপি কোনও ভাবেই নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না। কংগ্রেস ভাল ফল করবে এবং গতবারের চেয়ে আসনসংখ্যাও বাড়াবে। তারপরেও কিন্তু একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা কংগ্রেস পাবে না। এদিকে কংগ্রেস আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা জেডিএসের সঙ্গে জোটের পথে হাঁটবে না।
কিন্তু ভোটের ফলাফল যদি বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে মিলে যায় তাহলে কী করবে কংগ্রেস সেটা বলা মুশকিল। কারণ রাজনীতিতে সবটাই সম্ভব। এদিকে কুমারস্বামী দাবি করেছেন তাঁর দল ৫০ আসনের কম পাবে না। কাজেই কিংমেকার যে তিনি হচ্ছেনই সেটা জেনে গিয়েছেন। সেকারণে জোট নিয়ে তিনি বলেছেন যে রাজনৈতিক দল তাঁদের শর্ত মেনে নেবে সেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জোট করবে জেডিএস।
গত নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েছিল জেডিএস। কিন্তু সেই জোট সুখের হয়নি। কাঁদতে কাঁদতে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়েছিলেন কুমার স্বামী। মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের কাছ থেকে তাঁর উপরে যে চাপ আসছিল সেটা নিয়ে সরকার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল সেকারণেই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।