কর্ণাটক বিজয়ের পিছনে মহিলা ভোট
নিউজ ডেস্ক : কর্ণাটক কংগ্রেসের এই বিপুল জয়ের পিছনে মমতার থিওরি কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করেন। কর্ণাটকে প্রত্যেক মহিলাকে ২০০০ টাকা করে মাসে দেওয়া হবে(মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুকরণে) বলেই কংগ্রেসে প্রতিশ্রতি। আর সেখানেই বাজিমাত কংগ্রেসের। কর্নাটকে মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে মহিলারা কংগ্রেসের দিকে যেতে প্ররোচিত করেছে। তারপর মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় প্রতি মহিলাকে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি একটা বড়ো ফ্যাক্টর হয়ে গিয়েছে। কর্নাটকে একটি এলপিজি সিলিন্ডার ১১০০ টাকারও বেশি বিক্রি হচ্ছিল, তা তুলে ধরে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার এটিকে প্রতীকী প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। তার সুফলও মিলেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন,মমতার থিওরি কাজে লেগেছে কর্ণাটকে। কংগ্রেস মহিলাদের ২০০০ টাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিজেপিকে মূল্য চোকাতে হল। বিজেপির মহিলা ভোটব্যাঙ্কে ধস নামিয়ে কংগ্রেসের দিকে নিয়ে এলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্যের প্রতিটি মহিলাকে ২০০০ টাকা নগদ প্রদানের কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বিজেপির অনুগত ভোটারদের মনেও প্রভাব ফেলেছে। বিজেপির মহিলা ভোটব্যাঙ্ক ভাঙিয়ে এনে কংগ্রেস বড়ো জয় তুলে নিয়েছে। মহিলা ভোটাররা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আর কর্নাটকের নির্বাচনে মহিলা ভোটারদের গুরুত্ব আরও বেশি ছিল, যেখানে তারা ২২৪টি আসনের মধ্যে ১২২টিতে পুরুষ ভোটারদের থেকে বেশি। এখন দেখার এই সমস্যার মোকাবিলা বিজেপি কিভাবে করে।