বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশে আরও এক মন্ত্রীর মেয়ের চাকরি ‘বাতিল’
নিউজ ডেস্ক::বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি শর্ত সাপেক্ষে প্রায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছে অন্তত এক তৃণমূলের মন্ত্রীর মেয়ে এবং বহু তৃণমূল নেতার আত্মীয়দের নাম। তবে এব্যপারে বিশেষ কিছু বলতে চাননি মন্ত্রী।
নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে এর আগে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের। যে সময় পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি যায়, সেই সময় তিনি মন্ত্রী। তারপরে তাঁরও চাকরি যায়। প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়েকে চাকরিকালীন সময়ে পাওয়া বেতনও ফেরত দিতে হয়।
এবার গত সপ্তাহে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি তাঁর নির্দেশে শর্ত সাপেক্ষে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের কথা জানিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইকের কন্যার নাম। মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক মালবাজারের তৃণমূল বিধায়ক। ২০১৭ সালে তাঁর মেয়ে রাঙামাটি চা বাগান এলাকার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার সুযোগ পান।
সেই তালিকায় তৃণমূলে বহু নেতা নেত্রীদের আত্মীয়দের নামও উঠে এসেছে। তালিকায় জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দুলাল দেবনাথের পুত্রের নাম রয়েছে। নাম রয়েছে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম বসুনিয়ার দুই আত্মীয়ের। এই পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমলেন্দু চৌধুরীর স্ত্রীর নামও রয়েছে ওই তালিকায়।
মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমচকে জানিয়েছে, মেয়ে দুবার সিভিল সার্ভিসের লিখিত পরীক্ষা পাশ করে মৌখিক পর্যন্ত গিয়েছিল সে কারণে তাঁর শিক্ষাতগত যৌগ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাননি।
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেছেন, তাঁর ছেলে এমএড রয়েছে। সে চাকরি পাওয়ার যোগ্য। পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমলেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, সবাই যা করবে, তিনিও যে পথেই যাবেন। শিবম বসুনিয়াও ওই একই কথাই জানিয়েছেন। চাকরি বাতিলের তালিকা নাম থাকা জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য গীতা দাস রাজবংশী কিছু বলতে চাননি।