চাকরি চ্যূতদের পক্ষে থাকার বার্তা মমতার
নিউজ ডেস্ক::সোমবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে একরাশ উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রে ডিএ আন্দোলনকারীরা। ডিএ আন্দোলনকারীদের জন্যেই ৩৬ হাজার চাকরি চলে গেল বলেও আক্রমণ তাঁর। যদিও একই সঙ্গে চাকরিচ্যুতদের পাশে থাকারও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, চ্যালেঞ্জ করে আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাব। আইনি লড়াইয়ে যতদূর যাওয়া যায় ততদুর যাব বলেও হুঁশিয়ারি প্রশাসনিক প্রধানের। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই বিষয়ে দিল্লির একটা নির্দেশ রয়েছে। যেখানে তিনবছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে আইনজীবীরাই আদালতে যা বলার বলবেন বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে চাকরিচ্যুতদের অনেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে এদিন জানান তিনি।
তাঁর আশঙ্কা, এই অবস্থায় কেউ কিছু যদি করে ফেলে তাহলে কি হবে! সবাইকে শান্ত থাকার বার্তা দেন দেন প্রশাসনিক প্রধান। এমনকি বিভিন্ন দফতরে অনেক নিয়োগ পড়ে রয়েছে। তবে আইনি জটিলতায় সমস্ত নিয়োগ আটকে রয়েছে বলেও মন্তব্য তাঁর। তিনি বলেন আমরা ন মানবিক। ই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘ডিএ নিয়ে যারা মিটিং-মিছিল করছে, তাদের জন্যেই চাকরি চলে গেল।’ অফিস টাইমে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সার্ভিস রুল ভাঙছে না? অবশ্য আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,ওনার হাতে তো অনেক ক্ষমতা। উনি আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। মমতা আবার আইনি জটিলতাকে খুঁচিয়ে তুলে বলেন,ডিএ কোনও বাধ্যতামূলক নয়। পুরোটাই ঐচ্ছিক বিষয়। তবে টাকা নেই। টাকা থাকলে ভালোবেসে দিতাম বলেও মন্তব্য প্রশাসনিক প্রধান।
এমনকি দিল্লিতে রাজ্যের ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। তা এনে দিন। তাহলে আরও তিন শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথাও বলেন এদিন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক বছরই ডিএ দিচ্চি। এই বিষয়ে একযোগে সিপিএম-বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি বলেন,এভাবে রাজ্যটাকে স্থবির করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তা আমি হতে দেব না। এই বিষয়ে অন্যতম আন্দোলনকারী ভাস্করবাবু বলেন, উনি শাসনে আসার আগে অজস্র মিটিংয়ে বলেছিলেন,’যে সরকার সরকারি কর্মচারীদের ডি এ দিতে পারে না সেই সরকারের সরকারে থাকার কোনো অধিকার নেই। উন আগে নিজের সরকার ভেঙে দিন, তারপর কথা হবে।