শাসক শিবিরে দ্বন্দ্বে প্রতিক্রিয়া অধীরের
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে টিকিট নিয়ে তৃণমূলে মারামারি শুধু এখানেই নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গেই। এদিন ভরতপুরে শাসক শিবিরে লাঠালাঠি নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। তিনি জেলায় ফের এই ধরণের ঘটনার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন।
অধীর চৌধুরী বলেন, আজ আবার বদলা বদলি হবে। তৃণমূলে এটা ছাড়া কিছু নেই। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা নেই। ঘর তৈরির টাকা নেই। তাঁর প্রশ্ন, কোথা থেকে পাবে। বম্ব তৈরি করে মিথ্যা কথা বলে আর মস্তানি করে মানুষের কাছে ভোট থেকে আদায় করবে তারা।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, এগুলো করতে গেলে আগামী দিনে পঞ্চায়েতের টিকিট চাই। টিকিট পাওয়া যাবে কি যাবে না, তাই নিয়েই মারামারি চলছে। এদিন ভরতপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর।
প্রসঙ্গত শনিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে আসে। বিধায়ক কার্যালয়ের বাইরে বিধায়কের অনুগামীদেরকে মারধর করার অভিযোগ উঠে ব্লক তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলাম টার্জানের বিরুদ্ধে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডি হানার পাশাপাশি তাঁর খুব কাছের বলে পরিচিত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, দুর্নীতি থাকতে ঢাল করা হচ্ছে সিভিকদের।
অধীর চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলান্টিয়ারদের অবস্থা খুব খারাপ। ১১ বছর সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছেন, এখনও তাঁরা বেতন পান নয় হাজার টাকা করে। এঁদের ভবিষ্যৎ কী তা তাঁরা জানে না।
অধীর চৌধুরী বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দারিদ্রতাকে এমনভাবে কিনে রাখা হয়েছে, যে তাঁদেরকে বলা হচ্ছে সরকারি দলের কথা না শুনলে আগামী দিনে ৯ হাজার টাকার বেতনটাও নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, ব্রিটিশ শাসনে ভারতে বন্ডেড লেবার ছিল। আর এখন সিভিক ভলান্টিয়ারদের বন্ডে লেবারে পরিণত করা হচ্ছে।