এগরায় ভানু বাগকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছিল তৃণমূল পঞ্চায়েত
নিউজ ডেস্ক::এগরার খাদিকুল গ্রামে এখনও কান পাতলে শোনা যায় স্বজনহারাদের কান্না। বাতাসে এখনো পোড়া মৃত দেহের গন্ধ। গত ১৬ মে মঙ্গলবার , এগরার খাদিকুল গ্রামে ভানু বাগের বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিস্ফোরণের আগুনে মৃত্যু ও হয়েছে প্রধান অভিযুক্ত ভানু বাগেরও। প্রশ্ন উঠছে কী করে এতদিন বেআইনি বাজি কারখানায় কারবার চালাচ্ছিল ভানু ওরফে কৃষ্ণপদ বাগ। কীসের ভিত্তিতে এই বাজি কারখানায় কারবার চলছিল। বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের প্রত্যক্ষ মদতে এই বাজি কারখানা চলছিল। এর মধ্যেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
২০১৯ সালে কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগকে ৩০০ টাকা ফি নিয়ে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েত। যেখানে লেখা আছে ‘মা সারদা আতশবাজি ভান্ডার’। যেখানে দেখা যাচ্ছে এই ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছেন তৎকালীন সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তিলতা দাস। যিনি বর্তমানে এলাকায় তৃণমূল নেত্রী বলে পরিচিত।
এছাড়াও ট্রেড লাইসেন্সে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের সিলমোহর। এই ট্রেড লাইসেন্সের ছবি এখন ভাইরাল। অন্যদিকে ভানু বাগ এলাকার তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যও বটে।
শুরুতে পুলিশ দাবি করেছিল ওই বাজি কারখানাটি অবৈধভাবে চলছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই ট্রেড লাইসেন্স ফি সরকারি বিধি মেনে দেওয়া হয়েছিল। ফলে এখন পুলিশি নজরদারি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কেননা যে পরিমাণ বাজি কিংবা বাজির মশলা থাকার কথা তার থেকে কয়েকগুণ বেশি মজুত ছিল সেখানে। যার জেরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও প্রাণহানি।