গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মমতা
নিউজ ডেস্ক::বিস্ফোরণের ১১দিন পর এগরার খাদিকুল গ্রামে পা রেখেই গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আগেই আসা উচিত ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে দেরি হয়ে গিয়েছে আসতে।
বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তিনি। সেই সঙ্গে পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এগরায় পৌঁছেই গ্রামবাসীদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এগরার খাদিকুল গ্রামে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘আগেই আসা উচিত ছিল কিন্তু আবহাওয়ার কারণে আসতেই পারিনি। দেরি হয়ে গিয়েছে আসতে। তার জন্য মাথা নত করে ক্ষমা চাইছি। এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। আর কোনও প্রয়োজন থাকলে বলবেন।’
এদিন খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত পরিবারদের হাতে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের শিশুদের পড়াশোনার যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এগরা বিস্ফোরণকাণ্ড আমার চোখ খুলে দিয়েছে। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করার নয়া নির্দেশিকা দিয়েছেন তিনি। রাজ্যে গ্রিন বাজি তৈরি হবে। এবং তার জন্য সরকার তৈরি করবে বাজি কারখানা। যাঁরা বেআইনি বাজি কারখানায় কাজ করেন তাঁদের যাতে চাকরি না যায় সেদিকেও নজর রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী কেন আসেননি বলে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিস্ফোরণের পরের দিন খাদিকুল গ্রামে পৌঁছে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের স্লোগান তুলেছিলেন তিনি। এমনকী এগরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে মিছিলও করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ ভানুর কাছ থেকে তোলা তুলত বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা।
খাদিকুলের সভায় হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার সঙ্গে ইন্টালিজেন্স ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন সঠিক সময়ে ইন্টালিজেন্স খবর পেলে এই জিনিস ঘটনা ঘটত না বলেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ড থেকে অনেক অস্ত্র ঢুকছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি বাজি কারখানা দেখলেই পুলিশকে রিপোর্ট করুন বলে গ্রামবাসীদের জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে ২ দিনের মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।