মোদী সরকারের নয় বছর পূর্তি
নিউজ ডেস্ক::নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৯ বছর পূর্ণ করেছেন। তাঁর এই নয়বছর সময়ে অনেক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল যেমন করেছেন, তেমনই প্রতিরক্ষাতেও বড় পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষায় বাজেট যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনই পরিকাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গত নয় বছরে প্রতিরক্ষা বাজেট ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে মোদী সরকার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে কতটা আগ্রহী। বর্ধিত বাজেট প্রতিরক্ষায় আধুনিকিকরণ, গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
দেশকে স্বনির্ভর করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষাতেও দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের তরফে প্রতিরক্ষায় গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-র সঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
সরকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশারী করার পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র ও নতুন প্রযুক্তির ওপরে জোর দিচ্ছে। এর জন্য দেশিয় পদ্ধতিতে উদ্ভাবনে জোর দেওয়া হয়েছে। সেই মতো প্রতিরক্ষা সংগ্রহের পুরো প্রক্রিয়াটকে সংগঠিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষায় আমদানির ওপরে নির্ভরশীলতা কমাতেও জোর দেওয়া হয়েছে।
গত নয় বছরে মোদী সরকার নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকিকরণের ওপরে জোর দিয়েছে। এর জন্য ফাইটার জেট, সাবমেরিন, আর্টিলারি সিস্টেম, হেলিকপ্টার এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় নতুন প্রযুক্তি আনতে চুক্তি করেছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে।
সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে কাঠামোগত সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এর অধীনে সামরিক কমান্ড তৈরি, তিন বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ এবং নতুন প্রতিরক্ষা মতবাদের দিকে এগিয়ে যেতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মেক ইন ইন্ডিয়া এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব মডেলের মতো উদ্যোগগুলি দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে উন্নত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনে অংশ নিতে বেসরকারি সংস্থাও উৎসাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকেও আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রতিরক্ষা কূটনীতির ওপরে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। এর অধীনে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সামরিক মহড়া, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে অনেক দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করেছে মোদী সরকার।
গত নয় বছরে মোদী সরকার দেশের সীমান্ত পরিকাঠামো উন্নত করার দিকেও নজর দিয়েছে। ভারত-চিন, ভারত-পাকিস্তানের মতো সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকায় নজর দিয়েছে সরকার। সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নত করতে রাস্তা, সেতু, টানেল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও নজরদারি ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।