রজার বিনির ইউটার্ন
নিউজ ডেস্ক::রজার বিনির ইউটার্ন। শুক্রবার কুস্তিগীরদের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছিলেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, প্রবল বিতর্কের সূত্রপাত করলেন রজার বিনি। সাক্ষী মালিক-বজরং পুনিয়াদের সমর্থনে কোনও রকম বিবৃতি দেননি বলেই শনিবার দাবি করলেন বিসিসিআই সভাপতি।বিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কুস্তিগীরদের হয়ে যেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে তিনি নেই।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘কিছু মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে যেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে, আমি সেটাতে পরিষ্কার করে বলতে চাই আমি কুস্তিগীরদের বর্তমান আন্দোলন নিয়ে কোনও বিবৃতি দিইনি। আমি বিশ্বাস করি এই বিষয়ে যোগ্য ব্যক্তিরা ঘটনার তদন্ত করছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে, আমি বিশ্বাস করি খেলাকে রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়।’
১৯৮৩ সালের সদস্যেরা শুক্রবার একটি বার্তা দেন। দিল্লি পুলিশ যে ভাবে কুস্তিগিরদের জোর করে আটকে দিয়েছিল, সেটা মেনে নিতে পারেননি কপিল দেবরা।
বিশ্বজয়ীদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হল,’যেভাবে আমাদের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীরদের হেনস্তা করা হয়েছে, সেই দৃশ্য আমাদের কষ্ট দিয়েছে, বিব্রত করেছে। আবার একই সঙ্গে এটা ভেবেও উদ্বিগ্ন যে কুস্তিগিররা তাঁদের কষ্টার্জিত মেডেলগুলি জলে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।’ কুস্তিগীরদের প্রতি বিশ্বকাপজয়ীদের এই মনোভাব কিন্ত প্রশংসা পেয়েছিল সমাজ মাধ্যমে।
সুবিচার না পেয়ে গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দেওয়ার মতো করুণ সিদ্ধান্তও নেন কুস্তিগীররা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিলদেবদের আবেদন করেছিলেন , দয়া করে তাড়াহুড়ো করে কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। এই পদকগুলি বহু বছরের বহু চেষ্টা, আত্মত্যাগ, চেষ্টা এবং পরিশ্রমের ফল।
কুস্তিগীরদের সমর্থনে আগেই সরব হয়েছিলেন কপিল দেব। অবশেষে নীরবতা ভঙ্গ করলেন তাঁর বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যরাও।কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য বিনি যেভাবে বিবৃতি না দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তাতে ফের বিতর্ক তৈরি হল। তাহলে কি বিনির অনুমতি ছাড়াই তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।
ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি এফআইআর-এ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ১৫টি যৌন হয়রানির ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি অনুমতি ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করার মত গুরুতর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
নিজেদের আন্দোলনে অনড় আছেন কুস্তিগীররা। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের লড়াই অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন সাক্ষী-বজরংরা।