রক্ত দিতে লাইন ওডিশার একাধিক হাসপাতালে

0 0
Read Time:3 Minute, 22 Second

নিউজ ডেস্ক::ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা! পুরো দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে একের পর এক ট্রেন। সাম্প্রতিক সময়ে এত বড় ঘটনা ঘটেছে কিনা তা মনে করতে পারছে না কেউই। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। প্রতিটা সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আর তাই একযোগে কাজ করছে সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে এনডিআরএফের সদস্যরা। তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে একের পর এক দেহ বেরিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, দুমড়ে মুড়চে যাওয়া বগির মধ্যে আটকে আছে বহু দেহ। যা চোখে না দেখলে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা কার্যত কঠিন।

তাও যত দ্রুত সম্ভব বগি কেটে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় মানুষজনও উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে। স্থানীয় এক যুবক গণেশ জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। হঠাত ব্যাপক শব্দ। দুর্ঘটনার সময়ে কাছেই ছিলেন গণেশ। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরিস্থিতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সে।

গনেশ বলছেন, অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ জন মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে এখনও বহু মানুষ আটকে আছে। অন্যদিকে একাধিক হাসপাতালে আহতদের ভিড়। উপচে পড়ছে হাসপাতালের বেড। কারোর হাত বাদ গিয়েছে তো কারোর পা। প্রয়োজন প্রচুর রক্তের। আর তাই ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালগুলিতে রক্ত দেওয়ার ভিড় চোখে পড়ার মতো। যে যেখান থেকে পারছেন হাসপাতালে আসছেন রক্ত দিয়ে।

কার্যত এক লড়াই! আর সেই লড়াই জিততে একজোট সবাই। অন্যদিকে এক যাত্রী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই যাত্রী জানাচ্ছেন, ঘটনার আগে জেগেই ছিলাম। হঠাত করেই প্রবল শব্দ শোনা যায়। কেঁপে ওঠে গোটা ট্রেন। মুহূর্তে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন আমার উপরে এসে পড়ল। কোনও রকমে ট্রেন থেকে বেরিয়ে বাঁচলেও গোটা পরিস্থিতি দেখে চমকে ওঠেন ওই যাত্রী। কতটা ভয়ঙ্কর তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না বলেই জানাচ্ছেন ওই রেল যাত্রী।

তাঁর কথায়, চারপাশ জুড়ে শুধু কান্না এবং চিৎকার-আর্তনাদ। কারোর হাত নেই তো আবার কারোর পা উড়ে গিয়েছে এই দুর্ঘটনায়। চারপাশ জুড়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্য! বলে রাখা প্রয়োজন, ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেই খবর।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!