রাজ্যে কবে হবে বর্ষার বৃষ্টি
নিউজ ডেস্ক::অবশেষে তিনি এলেন। পুরো সাত দিন অপেক্ষা করিয়ে অবশেষে কেরলে প্রবেশ করল বর্ষা। গতকাল রাত থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীবায়ু কেরলে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আজ সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভারী বর্ষণ।
আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। মধ্য আরব সাগর থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর, কেরল, এবং তামিলনাড়ু পর্যন্ত ছড়িয়ে গিয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
ইতিমধ্যেই কেরলের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কেরলের একাধিক জেলায ইতিমধ্যেই ভারী বর্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেরলের ইদ্দুকি, কোঝিকোড়ে সহ একাধিক জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষার বর্ষণ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কেরলের গোণ্ডি পেরিয়ে ছড়াতে শুরু করবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।
মৌসম ভবন জানিয়েছে ১১ তারিখ থেকে কর্নাটকে শুরু হয়ে যাবে বর্ষার বর্ষণ। বেঙ্গালুরু, চিক্কাবল্লাপুরা, টুমুকুরু, চামরাজনগর, কোলার এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। কেরল এবং কর্নাটকের মৎস্যজীবীদের আগামী কয়েকদিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও আগামী সপ্তাহ থেকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল থেকেই বদল হতে শুরু করবে আবহাওয়ায। গত কয়েকদিনে প্রবল তাপপ্রবাহ চলছে গোটা রাজ্যে। উত্তরবঙ্গেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দার্জিলিংয়েও এসি কেনার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণেই এই পরিস্থিিত তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণেই বর্ষা আসতে এতোটা দেরি। ১ জুন প্রথমে বর্ষা প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছিল মৌসম ভবন। সেটা পিছিয়ে ৪ জুন হয়। কিন্তু তার পরেও হয়নি বর্ষার প্রবেশ। এই বিপর্যয়ই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে বর্ষা প্রবেশ করল দেশে।