বামেরা একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করল মুর্শিদাবাদেও
নিউজ ডেস্ক : সাগরদিঘি মডেল বিশ বাঁও জলে। মুর্শিদাবাদেও বামেরা একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করল। কংগ্রেসকে অন্ধকারে রেখে গতকালই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরের। এবার বাম-কংগ্রেস জোট বা সাগরদিঘি মডেলের আঁতুড়ঘরেই জট। জোট হল না বাম- কংগ্রেসের।
শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিএমের কার্যালয় থেকে জেলা পরিষদের ৭৮টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিল বামেরা। জেলা পরিষদে এককভাবে লড়লেও নীচুতলায় বাম-কংগ্রেস মিলমিশে প্রার্থী দিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলা সিপিএমের সম্পাদক জামির মোল্লা।
এদিন জেলা পরিষদের প্রার্থী ঘোষণা করে জামির মোল্লা জানান, “জেলার বিভিন্ন জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাস্ত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য মোতাবেক আমরা নীচুতলায় কথাবার্তা চালাচ্ছি।”
তবে জেলা পরিষদে যে জোট গড়ে লড়া হচ্ছে না তা একপ্রকার পরিষ্কার। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বিবেচনা না করেই জেলা পরিষদের প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়াই তার প্রমাণ। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের মোট ৭৮টি আসন রয়েছে। ৭৮টি আসনেরই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হল।
যদিও মুর্শিদাবাদে জেলা পরিষদেও জোটের রাস্তা খোলা রয়েছে বলে জানান সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা। তাঁর কথায়, জেলা পরিষদে সব আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করলেও জোটের রস্তা খোলা রাখা হয়েছে। আলোচনা চলতেই পারে। সমঝোতা হলে বামেরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেবে।
মুর্শিদাবাদের ৭৮টি আসনের মধ্যে ৫৮টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে সিপিএম, ২টি আসনে সিপিআই, ৩টি আসনে ফরওয়ার্ড ব্লক ও ১৩টি আসনে আরএসপি প্রার্থী দেবে। আর বাকি মাত্র দুটি আসন। এরপর প্রার্থী তালিকা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কী সমঝোতা হতে পারে, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে।
অধীর চৌধুরীর নিজের গড়েই জোটে জট তৈরি হয়েছে। বামেদের একতরফা প্রার্থী ঘোষণার পর কংগ্রেসের উৎসাহ হারিয়ে ফেলাই স্বাভাবিক। গতকালই বামেদের সঙ্গে জোট করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার বার্তা দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
কিন্তু তারপর তিন তিনটি জেলায় একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট কার্যত বুঝিয়ে দিল তারা খুব বেশি উৎসাহী নয় জোটে। মুখে বললেও কাজে যে তারা জোটের পক্ষপাতী নয়, তা প্রমাণ করে দিচ্ছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছিল, অন্তত মুর্শিদাবাদে জোট করে লড়বে বাম-কংগ্রেস, কিন্তু তার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।