বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে জোট-বার্তা শমীকের
নিউজ ডেস্ক::কংগ্রেসের সঙ্গে জোট-চর্চাকে পাত্তা না দিয়েই মনোনয়নের প্রথম দিনের পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সমস্ত আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিলেন সিপিএম। এরপর মুর্শিদাবাদেও সমস্ত আসনে প্রার্থী দিলেও জোট বার্তা দেওয়া হয় সিপিএমের পক্ষ থেকে।
রবিবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রেও দেখা গেল একই চিত্র। সিপিএম তথা বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে কংগ্রেস বা অন্য দলের জন্য আসন ছেড়ে রাখার বার্তা দিল সিপিএম নেতৃত্ব। এদিন বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে শমিক লাহিড়ী জানান, তাঁরা জোট করে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আগ্রহী।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই কালবিলম্ব না করে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে বামফ্রন্ট। তাই জেলায় জেলায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে মনোনয়ন সেরে ফেলতে চাইছে তারা। দক্ষিণ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক শমিক লাহিড়ী বারুইপুরে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাস করেন।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের ৫২টি আসনে প্রথম পর্যায়ে বামফ্রন্ট প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছেন জেলার মোট জেলা পরিষদ আসন সংখ্যা ৮৫টি। দ্বিতীয় দফায় আরও বামফ্রন্ট প্রার্থীদের নামের তালিকা শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। সেইসঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী কয়েকটা দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে জোটের জন্য।
তিনি সরাসরি কংগ্রেস বা আইএসএফের নাম না করেই জোট বার্তা দিয়েছেন। তাই তাদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে বলে শমীকবাবু জানান। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্যানিং, মথুরাপুর ও ভাঙড় এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
অন্য জেলাগুলিতে যখন বামফ্রন্ট একপেশে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করায় জোট সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে, তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা সিপিএম নেতৃত্ব প্রকাশ্যেই জোট বার্তা দিয়ে রাখল। এখন দেখার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট হয় কি না। কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়তে আগ্রহী। কিন্তু তারা আবাকর আইএসএফের সঙ্গে যাবেন কি না, সেটাও প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, আইএসএফ গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে তারা জয়ীও হয়েছিল। সিপিএম বা কংগ্রেসে কিংবা বামফ্রন্টের কোনো দল যখন নির্বাচনে একটি আসনও জিততে পারেনি, তখন আইএসএফের জয় ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো মুর্শিদাবাদও কংগ্রেসকে আসন ছাড়তে রাজি বলে জানায় শনিবার।