পঞ্চায়েত মামলায় ভোট পিছনোর প্রস্তাব হাইকোর্টের
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। দুই মামলায় কমিশনের বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন অংশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে তারই শুনানি হয়।
শুনানিতে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশের সময় বৃদ্ধির কথা বলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, আগেরবারের থেকে মনোনয়ন পেশের সময় কম। প্রতিদিন ৪ ঘন্টা করে সময় যথেষ্ট নয়। কমিশনের আইনজীবী বলেন, ৪ ঘন্টা মানে তারপর দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। বিকেল তিনটে পর্যন্ত যাঁরাই প্রবেশ করবেন, তাঁরা মনোনয়ন দিতে পারবেন।
উত্তরে কমিশনের আইনজীবী বলেন, মনোনয়নের সময় চাইলে একদিন বাড়ানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ৯ জুন থেকে ১৫ জুনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৯ জুন থেকে ১৬ জুন করা যেতে পারে। সেই সময় প্রধান বিচারপতি পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে ১৪ জুলাই করানোর প্রস্তাব দেন। কমিশনের আইনজীবী বলেন, দিন পিছিয়ে দেওয়া যায় না।
এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বে়ঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করিয়ে দিয়ে বলেন, প্রার্থীদের কথা বাদ দেওয়া গেলেও, কমিশনের ওপরে যাতে ভোটারদের আস্থা থাকে তা দেখতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন কমিশন নিরপেক্ষ সংস্থা। সেই কারণে কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আগেকার অভিজ্ঞতা থেকে এবার কোনও ভুল থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, কমিশন চাইলে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু পুরো বিষয়টিই কমিশন নিজেদের কাছে রেখেছে।
এদিন শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানতে চান ৯ জুন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সংখ্যাটা কত? সেই সময় কমিশনের আইনজীবী জানান, এখনও পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। বিজেপির আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনের আইনজীবী বলেন, আইন অনুযায়ী তাদের হাত বাঁধা।
শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী যুক্তি দিয়ে বলেন, মনোনয়ন পিছু ৪০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়নি। এছাড়াও দায়িত্ব নেওয়ার একদিনের মধ্যে নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার। সেখানে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়নি। এছাড়াও অনলাইনে জাতি শংসাপত্র দেওয়া বন্দ থাকায় সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অসুবিধার কথাও তিনি বলেন।
যদিও এদিন শুনানির শুরুতে কমিশনের আইনজীবী মনোনয়ন জমার সময় বাড়াতে কার্যত রাজি ছিলেন না। তিনি এব্যাপারে সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর উদাহরণ টানেন। তিনি বলেন, সেই সময় তো অতিরিক্ত সময় দাবি করা হয় না।