শান্তনুকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের – তিন মাস পর পর আসবো,ক্ষমতা থাকলে আটকাবে
নিউজ ডেস্ক::অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার নবজোয়ার কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই ঠাকুর বাড়িতে মতুয়া মহাসঙ্ঘে যান। গন্ডগোল শুরু হয় ওখান থেকেই। শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভের জেরে মতুয়া ঠাকুর বাড়ির মূল মন্দিরে ঢুকতেই পারেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশের ছোট মন্দিরে তিনি পুজো দেন। পরে ঠাকুরবাড়ি থেকে বেরিয়েই শান্তনু ঠাকুরের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে ৩ মাস অন্তর ঠাকুর বাড়িতে আসব। দম থাকলে আটকে দেখাক।’
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের আগমনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ঠাকুরবাড়ি চত্বর উত্তপ্ত ছিল। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ। দুপুরে অভিষেক আসার আগেই মন্দিরের ভিতরে ঢুকে দরজা আটকে দেন শান্তনু ঠাকুর। ফলে তিনি ওই মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। পাশের একটি মন্দিরে পুজো দেন তিনি। পরে ঠাকুর বাড়ি চত্বরে দাঁড়িয়েই অভিষেক বলেন,’উনি যে বাড়িতে থাকেন সেখানে জলের ব্যবস্থা মমতা করে দিয়েছেন। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে তৃণমূলকে চমকাচ্ছেন সেই রাস্তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করে দেওয়া। ভিড় ভেঙে ঢুকতে চাইলে মাত্র পাঁচ মিনিট লাগবে। ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া-মাটিকে কালিমা লিপ্ত করা হচ্ছে’।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অভিষেক যান ঠাকুর বাড়িতে। কিন্তু সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। এতেই আপত্তি তোলেন শান্তনু ঠাকুর। এ দিন সকালে বাড়ি সামনে পুলিশ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি পুলিশদের সরে যেতে বলেন। ঠাকুর বাড়ির নাটমন্দিরে বসে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা। শান্তনু ঠাকুর বলেন,’ কে অভিষেক ও বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের? এত সাজগোছ হচ্ছ, মন্ত্রী এলেও হয় না। প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন তখনও হয়নি। ও কে? সাধারণ সংসাদ।’ ফলে সঙ্কটে পড়েন অভিষেক। তিনি তখনকার মতো চলে গেলেও তিন মাস পরে আসার চ্যালেঞ্জ দিয়ে যান।