নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী শুভেন্দুর
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব চলছে। তা নিয়ে প্রতিদিনই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর এর মধ্যে নন্দীগ্রাম নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে রাজনৈচতিক পারদ আরো চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পূর্বাভাস দিলেন মনোনয়ন পর্বেই।
নন্দীগ্রাম যে ফের বাংলার নির্বাচনের এপি সেন্টার হয়ে উঠছে, তা বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের মুখপাত্র তথা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাদানুবাদেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুভেন্দু এদিন ফলাও করে জানিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামে কী ফল হতে চলেছে। আর তার পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নন্দীগ্রামে মোট ১৭টি পঞ্চায়েত। তার মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েতে আমরা জিতব। আর বাকি পাঁচটি পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু হবে। আমরাই পরে বোর্ড গড়ব। এমনকী দুটো পঞ্চায়েত সমিতিও জিতব আর জেলা পরিষদও জিতব। নন্দীগ্রামে গণতান্ত্রিকভাবে আছাড় মারব তৃণমূলকে।
শুভেন্দুর ভবিষ্যদ্বাণীর পর তাঁর প্রতিক্রিয়ায় কুণাল ঘোষ বলেন, নন্দীগ্রামে শোচনীয় পরাজয় হবে বিজেপির। যাঁর আদি বিজেপি অর্থাৎ শুভেন্দুর বিরু্দ্ধে যাঁরা লড়াই করে এসেছেন তাঁরা এখন কেউ বিজেপিতে নেই। তাঁরা সবাই তৃণমূলে চলে আসছেন। আর দু-একজন যাঁরা আছেন, শুধুমাত্র গ্যাস বেলুনের মতো কথা বলে মনোবল চাঙ্গা রাখতে চাইছেন।
উনি তো আরএসি এমএলএ। এমনিতেই টিকিট কনফার্ম নয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সুবিধা নিয়ে ফল ঘোষণার পরও তা উল্টে দিয়ে বিধায়ক হয়েছেন। তারপর এখনো মামলা চলছে। মানুষ ক্রমশ বুঝতে পারছেন উন্নয়নটা কার হাত ধরে হচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। মানুষ তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রয়েছেন। ফলে বিজেপিতে ধস নেমেছে।
উল্লেখ্য, একুশের ভোটে গোটা দেশের নজর ছিল নন্দীগ্রামে। কারণ এখানে মুখোমুখি লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর এক সময়ের ডানহাত শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের লড়াই হয়ে উঠেছিল প্রেস্টিজ ফাইট। তা নিয়ে কাঁচে কা টক্করে শেষ মুহর্তে বিতর্কিত জয় পান শুভেন্দু অধিকারী।
প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছে বলে জানানোর পর ফল স্থগিত রাখা হয়। শেষ জানানো হয় শুভেন্দু অধিকারী জয়ী হয়েছেন। তৃণমূল অভিযোগ করে, লোডশেডিং করে ফল উল্টে দিয়ে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু। তারপর নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে মামলা হয়।
সেই সূত্র ধরে এবার নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েতও আলাদা মাত্রা পেতে চলেছে। তৃণমূল চাইছে পঞ্চায়েতে জয়ী হয়ে বুঝিয়ে দিতে শুভেন্দু অধিকারী জোর করে জিতেছিলেন নন্দীগ্রামে। আর বিজেপি চাইছে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয় যে ফ্লুকে আসেনি, তা বুঝিয়ে দিতে। লড়াই তাই কাঠে-খড়ে।