ফের উত্তপ্ত ভাঙড়
নিউজ ডেস্ক::ফের ভাঙড়ে উত্তেজনা। নতুন করে বোমাবাজির অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনয়নেও চলছে বোমাবাজি। খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে সংবাদ মাধ্যম। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টারদের লাঠি হাতে হাঁসুয়া হাতে মারধরেক অভিযোগ।
সংবাদ মাধ্যমকে হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করার চেষ্টা। পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সাফাই সকলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ১৪৪ ধারা তুড়িতে উড়িয়ে চলছে গুণ্ডামি। চরম অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভাঙড়ে।
গতকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভাঙড়। গতকাল আইএসএফের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ভাঙড়ে। আইএসএফের প্রার্থীদের বিডিও অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। শাসক দলের নেতা কর্মীরা তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল। বিডিও অফিসের ঢিল ছোড়া দূরত্বে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে দেখা গিয়েছে।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি বোমাবাজি করা হয়েছিল। দফায় দফায় বোমাবাজিতে দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকী আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ির ড্যাশবোর্ড থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় বোমা কোথা থেকে এলো।
বেলা গড়াতে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে বোমাবাজি শুরু হয় ভাঙড়ে। বেলা পর্যন্ত উতপ্ত হয়ে ছিল ভাঙড়। পুলিশ একপ্রকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়। তারপরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসককে ফোন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশ দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
তারপরের দিন বুঝবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহাজাহানের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। লাঠি-হাঁসুয়া নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। কেন সংবাদ মাধ্যমের উপর হামলা তা প্রশ্ন করাতে তৃণমূল নেতা বলেন সকলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েেছ। পুলিশ কেন চুপ করে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি।
ভাঙড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কেন ভাঙড়ে সন্ত্রাস বন্ধ করা যাচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভাঙড়ের ১ নম্বর ব্লকে চরম অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তায় নির্বিবাদে লাঠি-অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা। আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।