জেলা শাসকদের কী নির্দেশ রাজীব সিনহার
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। মনোনয়ন জমার পঞ্চম দিনেও একাধিক জেলায় বোমাবাজি, গুলি চালনা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা শাসকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জেলা শাসকদের কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, মনোনয়ন যেখানে জমা নেওয়া হচ্ছে সেখানে যাতে কোনও রকম অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিকে কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। যেখানে মনে হচ্ছে অশান্তি হতে পারে সেখানে আগে থেকে ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হবে।
গতকাল ভাঙড়ে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি তৈরি হয়েছিল বোমাবাজি, গুলি, ইটবৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খেয়েছে পুলিশ। যেভাবে মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়েছে ইটবৃষ্টি হয়েছে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পুলিশ ভাঙড়ে ছিল না। বেশ কিছু পুলিশকর্মীও গতকাল ভাঙড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা, ইটবৃষ্টি করা হয়। তাতে আহত হয়েছিলেন কাশীপুর থানার এসআই।
তারপরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসককে ফোন করেন রাজ্যরে নির্বাচন কমিশনার। রাজীব সিনহা ফোন করে অবিলম্পে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জরুরি পদক্ষেপ করতে বলেন। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। দিনভর বোমাবাজি পাল্টা বোমাবাজিতে উত্তপ্ত থেকেছে ভাঙড়।
পরেরদিন সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভাঙড়ে। সেখানেও একের পর এক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। সকালেও বোমাবাজি হয়েছে ভাঙড়ের ১ নম্বর ব্লকে। বাসন্তী হাইওয়ের উপরে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি পর্যন্ত করা হয়। লাঠি হাঁসুয়া নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
শুধু ভাঙড় নয় এদিন মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়েও। ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছে। লাঠি উঁচিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে গিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন এসডিপিও। একই ভাবে বাঁকুড়ার ইন্দাসেও তুমুল অশান্তি হয়েছে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে। সেখানেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।