বড় ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার কতগুলি জেলা স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর তা নিয়ে দিনভর চলল জল্পনা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, স্পর্শকাতর জেলার সংখ্যা সাত।
যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতর থেকে বেরনোর সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়ে দিলেন এমন কোনও ঘোষণাই হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের কপি এখনও এসে পৌঁছয়নি। তা স্টাডি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, যে জেলাগুলিকে কমিশন স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করবে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করাতে হবে। নির্বাচন কর্মীদের রাখতে হবে কেন্দ্রীয় প্যারামিলিটারি ফোর্সের জওয়ানদের সুরক্ষা বলয়েই। এ ছাড়াও যদি মনে হয়, কোনও জেলায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করাতে প্রয়োজনীয় পুলিশকর্মী নেই, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে।
যদি এই নির্দেশের পর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার দায় যে কমিশনের উপর বর্তাবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় রাখা যে যাবে না সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের পর্যবেক্ষণ জেনে যদি কমিশন মনে করে কোথাও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা যাচ্ছে না সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করতে হবে।
দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বাহিনী পাঠানোর জন্য রাজ্য বা কমিশনের উপর আর্থিক বোঝা চাপাতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়, কমিশন ইতিমধ্যেই সাতটি জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করেছে। যদিও আদালতের রায়ে তেমন কোনও উল্লেখ নেই।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাও জানিয়ে দেন, কটি জেলা স্পর্শকাতর তা নিয়ে কমিশন কোনও ঘোষণা করেনি। হাইকোর্টের রায়ের রিপোর্ট দেখে সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দেন রাজীব সিনহা। কেন্দ্রীয় বাহিনী বা ভাঙড়ের ঘটনা নিয়েও তিনি প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, রাজ্য সরকারের সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী-তে যে ফোন নম্বরটি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি তৃণমূল কংগ্রেসের দিদিকে বলো কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও রাজীব সিনহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই নম্বর কোনও রাজনৈতিক দলের নয়।
এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, স্পর্শকাতর জেলার তালিকা আমার হাতে নেই। তবে জেলার সংখ্যা সাতটির বেশি হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যদি এতটুকু সততা থাকে তাহলে সাগরদিঘী মডেল গ্রহণ করুক। তাহলে মানুষ নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হোক।