মমতা-অভিষেককে কটাক্ষ অধীরের
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা ধরলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ।
অধীররঞ্জন চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক (বিপ্লব) প্রায় দেড় হাজারজনকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন। বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে হয় যোগদান পর্ব। সুতি ২ নং ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গোকুল হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ জন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।
তৃণমূল কংগ্রেস-ত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই তৃণমূলের ভাঙন আরও চওড়া হবে। এমনকী অনেক বড় মাপের নেতাদের তৃণমূল ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অধীর চৌধুরী বলেন, টাকা ফেলে তামাশা দেখার মতো তৃণমূল। দেরিতে মনোনয়ন জমা দিয়ে দলের মতানৈক্য চাপার চেষ্টা করছে তৃণমূল।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে প্রবল মতানৈক্য। আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলে কেউ নির্দল বা অন্য দলের হয়ে দাঁড়াতে পারেন। সেই সুযোগ যাতে কেউ না পান সে কারণেই দেরিতে মনোনয়নের স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে শাসক দল। শেষের দিকে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধাদানের চেষ্টা চলছে।
অধীর চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রার্থীদের বলেছি মনোনয়ন জমা দিতে না দিলে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে। প্রতিরোধ হবে। রানিনগরে ভয়ের পরিবেশ কাটিয়ে মানুষের জাগরণ ঘটছে দেখে কংগ্রেস পরিবারের উপর অতর্কিতে হামলা চালানোও হচ্ছে। খোকাবাবু (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেছিলেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা। মনোনয়নেই কী হচ্ছে তা দেখছেন মানুষ।
রাজ্যে এখন দুজন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন বলেও কটাক্ষ অধীরের। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কে বোঝাই যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী হয়েও সব দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ। পুলিশকে কোনও নির্দেশ দিচ্ছেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছেন। পুলিশ বুঝতে পারছে না কার কথা শুনবে। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, পার্টি সব মিলেমিশে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়়া ভোট শান্তিপূর্ণ হবে না। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইবে না। কারণ, তাহলে সর্বত্র সাগরদিঘী হবে। মন্তব্য অধীরের। ভাঙড়ে সাংবাদিকদের উপর হামলারও নিন্দা করে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম থাকায় সব কিছু জানতে পারি আমরা। তাঁদের কণ্ঠরোধের স্ট্র্যাটেজি নেন মোদী, মমতা দুজনেই।