প্রাতঃভ্রমনে বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা

0 0
Read Time:5 Minute, 15 Second

নিউজ ডেস্কঃ রবিবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।বিভিন্ন প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।রাজভবনে পিস রুম প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

সরকারি ব্যবস্থা ঠিকই আছে। এর বাস্তবে কতটা প্রয়োগ হবে? আমাদের যে কর্মীরা নমিনেশন করেছেন এসব স্পর্শকাতর জায়গায় তাদের ধমকি দেওয়া হচ্ছে। জোর করে প্রত্যাহার করতে বলা হচ্ছে, বাড়ি ছাড়া রয়েছেন তারা। বাড়ির লোককে ধমকানো হচ্ছে খুনের হুমকি দেওয়ার হচ্ছে , এগুলোর সমাধান কিভাবে হবে? গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যাতে ভোট দিতে মানুষ না পারে, প্রচার না হয় তার জন্য আগে থেকে ভয় দেখানো শুরু হয়েছে।


রাজ্যপাল তার মতো করে করছেন, কিন্তু তার একটা সীমা রয়েছে। তিনি নির্দেশ দিতে পারেন কিন্তু এই সরকার কারোর নির্দেশ মানে না কোর্টকেও মানে না। রাজ্যপাল যেখানে সন্ত্রাস সেখানে যাচ্ছেন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া উচিত, তিনি পুলিশ মন্ত্রী। পুলিশের রিপোর্টে বলা হচ্ছে একটাও মৃত্যু হয়নি, ওইদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন আমার পার্টির দুজন মারা গেছে। কংগ্রেস সিপিএমের ও লোক মারা গেছে। তাহলে সেগুলো রিপোর্টে নেই কেন। এই চালাকি করা হচ্ছে।

রাজ্যপাল ক্যাডারের মত কাজ করছেন:কুনাল
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

উনি তো আইএস এর ক্যাডার। উনি জানেন কিভাবে করতে হয়। সন্ত্রাসের প্রতিরোধ করতে গভর্নর নিজে পৌঁছে যাচ্ছেন, এটা তো ওনারা কখনো দেখেননি। ওনারা ভেবেছিলেন উনি জগন্নাথ হয়ে বসে থাকবেন আর সরকার যা রিপোর্ট দেবে তা মেনে নেবেন। গভর্নর ভালো একজন প্রশাসক তার অভিজ্ঞতা রয়েছে সরকারে থেকে। উনি জানেন সরকারে কিভাবে ম্যানুপুলেশন হয় তাই নিজের চোখে গিয়ে দেখছেন। মানুষ এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছেন, আগের রাজ্যপাল গেছেন, কিন্তু ভোটের পরে। কিন্তু যেখানে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে সেখানেই ইনি পৌঁছে যাচ্ছেন।

ভাঙড়ে নজর মুখ্যমন্ত্রীর, সংগঠনের দায়িত্ব সব্যসাচীকে
এই প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন,

কি আর নজর রেখেছেন নজর রেখে কি করছেন তিনি যে শওকত মোল্লাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজে ক্যানিং থেকে জীবনতলা থেকে লোক নিয়ে এসে অশান্তি করেছে। ধরা পড়ে তারা স্বীকার করেছে। যে গাড়িগুলো জ্বালানো হয়েছে সেগুলো ক্যানিং জীবনতলার গাড়ি। বোঝা যাচ্ছে কোথা থেকে লোক এসেছে আর কারা গন্ডগোল করেছে যারা রক্ষক তারাই ভক্ষক, তাহলে থামবে কি করে। ওনার পার্টি যাকে খুশি দায়িত্ব দিতেই পারে, কিন্তু সেটা গন্ডগোল থামাতে নাকি গন্ডগোল করতে। সরকারি পার্টি যদি লোক নিয়ে এসে গন্ডগোল করে, পুলিশ তাদের গায়ে হাত দিচ্ছে না, তাহলে গন্ডগোল থামবে কিভাবে?

নবজোয়ার মডেলে জেলায় জেলায় প্রচার তৃণমূলের
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

এখন ২০ তারিখ অবধি, যে মনোনয়ন প্রত্যাহার চলছে আগে তো সেটা সামলান। ১০-১২ হাজার যে অতিরিক্ত মনোনয়ন হয়েছে কেউ নির্দল হয়ে কেউ তৃণমূল হয়ে, তারা যদি প্রত্যাহার না করেন তাহলে তো দলের মধ্যে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে। পরিস্থিতি সেই দিকেই যাচ্ছে।

প্রচারের তৃণমূলের স্পেশাল ৫০, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

এসব ডায়লগ মিডিয়াতে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে কি হচ্ছে। বাস্তবে সেই গুন্ডারাই ভোট করবে, পার্টির কোন উপস্থিতি নেই। তাদের টিকিট দেবে বোম বন্দুক নিয়ে ঝামেলা করবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে গুন্ডারা ঠান্ডা হয়ে যাবে তাই তা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের দিকে গেছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!