“দিদি ভয় দেখিয়ে সব জেলা পরিষদে জিততে চাইছেন”: অধীরচৌধুরী
নিউজ ডেস্ক::দিদি ভয় দেখিয়ে রাজ্যের সব জেলা পরিষদে জিততে চাইছেন। তা না হলে তিনি কীসের জোরে বললেন, যে সমস্ত জেলা পরিষদে জিতবে তৃণমূল। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একহাত নিয়ে সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন রাজ্যে সমস্ত জেলা পরিষদ দখল করবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানেন আমরা সন্ত্রাস করব। আর পুলিশ আছে, তারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে জয়ে এনে দেবে তৃণমূলকে।
অধীরের কথায়, নির্বাচন হওয়ার আগে কীভাবে ফল ঘোষণা করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে বলতে হয়, তিনি পঞ্চায়েত ভোটকে বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস করেন, তাঁরা যেটা করবেন, সেটাই হবে। তা না হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে এত ভয় কীসের।
তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে নির্বাচন জিততে চাইছে বলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীতে তাদের এত আপত্তি। তার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করে দিল্লি পর্যন্ত দরবার করতে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসা রুখতে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীপর বিরোধিতা করে বাহুবল আর বোমা-বলে ভরসা করে জিতেত চাইছে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুৎসা করচে আবার দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসের আইনজীবী নেতাদেরই ধরনা ধরছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশে বলেন, মনু সিংভি দাঁড়ালে আমাদের বিড়ম্বনা বাড়বে। আমা আগে মনু সিংভিকে বয়কট করেছিলাম, আবারও বয়কট করতে প্রস্তুত।
অধীর বলেন, তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী যাতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন, সেজন্য বসা হয়েছে। কিন্তু ১০-১২ হাজার নির্দল হতে পারে না। এত নির্দল কোথা থেকে এল। তৃণমূলের সংঘাতে যাঁরা মনে করেছে তাঁরা নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।
অধীর চৌধুরীর কথায়, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ৭৮টি আসনের মধ্যে ৯৬ জন তৃণমূলের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তৃণমূল দল টাকা নিয়ে টিকিট দিতে চেয়েছিল। সবাইকে টিকিট দিতে পারেনি। আর সেই কারণেই এতজন প্রার্থী হয়েছেন। যাঁরা মনে করেছেন, আমরা তৃণমূলের জন্য এত কিছু করলাম, নিশ্চয়ই আমাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে, তারাই অতি উৎসাহে প্রার্থী হয়েছেন।
অধীর বলেন, এবার সময় হয়েছে জবাব দেওয়ার। মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে রুটমার্চ করা হচ্ছে। রুটমার্চ এই কারণেই করা হচ্ছে, যাতে পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখানো যায়। রুটমার্চের নামে পুলিশ ভয় দেখাচ্ছে, মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। মনস্তাত্ত্বিক সন্ত্রাস করে জিততে চাইছে বিজেপি।