রাজ্য-কমিশনকে ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে ধাক্কা। তবে শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কেন হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। বিচারপতিরা রাজ্যের ভোটে হিংসা নিয়ে ওয়াকিবহাল, তাও সামনে এসেছে।
রাজ্য সওয়ালে বলে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) নিরাপত্তা নিয়ে ১৩ জুনের পরে ১৫ জুন ফের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেখানে সময় পাওয়া যায়নি। সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, বেশি সময় লাগলে হাইকোর্টে আবেদন জানাতে পারতেন। বিচারপতি এসএলপির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। পরে যা খারিজ করেন বিচারপতি।
এর ফলে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মামলায় হার হল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই এব্যাপারে বজায় থাকল। এদিন শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি নাগরত্ন এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
এদিন রাজ্য জানায়, তারা ৫ টি রাজ্য থেকে বাহিনী চেয়েছে। সেই সময় বিচারপতি বলেন, তাহলে রাজ্যের হতে পুলিশের অভাব রয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পুলিশের দরকার। সেই পুলিশ কোথা থেকে এল তা জানার প্রয়োজন নেই। এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি, এমনটাই খবর সূত্রের।
শুনানিতে বিচারপতি বলেন, নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়। হিংসা কখনই নির্বাচনের সহযোগী হতে পারে না। বিচারপতি ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) হিংসার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি মনোনয়নের পরেও প্রার্থী হিংসার সম্নুখীন বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়।
১৫ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এব্যাপারে আবেদন করতেও বলা হয়। শনিবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই আবেদন করেনি রাজ্য সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্য এব্যাপারে আদালত অবমাননা করেছে।