‘মমতা ব্যানার্জি ইতিহাস ঘেঁটে দিতে চাইছেন’:দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্ক::মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি অগ্রাহ্য করেই রাজভবনে রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন করেছেন। শহরের রাস্তায় শোভাযাত্রা করেছেন বিজেপি বিধায়করা নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চাইছেন।
তিনি বলেছেন, ‘যখন বাংলার প্রথম সরকার হয় স্বাধীনতার আগে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তার মন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় যখন দেশভাগের প্রশ্ন ওঠে তখন সরকারে থাকা হিন্দু বিধায়করা পশ্চিমবঙ্গ তৈরির জন্য ভোট দিয়েছিলেন। বঙ্গভঙ্গের পর হিন্দু প্রধান অংশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হয়।’
বামেরাও নাকি তাতে সমর্থন জা নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘জ্যোতিবাবুরা পর্যন্ত, হিন্দু বাংলা তৈরি করার জন্য ভোট দিয়েছিলেন। মোট ২০ জন। তখন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের ধারণা তৈরি হয়। দেশ ভাগ হয়েছে তার পরে। তাই, পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হওয়ার একটা দিন আছে। মমতা ব্যানার্জি ইতিহাস ঘেঁটে দিতে চাইছেন। এটা ঐতিহাসিক সত্য। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বলে হিন্দু বাঙালি হোম ল্যান্ড পেয়েছে। নাহলে সবাই উদ্বাস্তু হয়ে যেত।’
মুখ্যমন্ত্রী নিজে একটা সময়ে ইতিহাস হয়ে চলে যাবেন বলে আক্রমণ শানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। গতকাল রাজভবনে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ জানিয়েছিলেন যেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন না করা হয়। কিন্তু রাজ্যপাল তাতে আমোল না দিয়েই পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন করেন রাজভবনে। এই প্রথম রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন হয়েছে।
বাস্তব পরিস্থিতি জানার দরকার ছিল। সব জায়গায় ওনার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়নি । মানুষের অভিযোগ পুলিস নেয়না। সরকার ব্যবস্থা নেয়না। গায়ের জোরে একটা দল ভোট করতে চায়। মানুষের অভিযোগ জানানোর জায়গা নেই। রাজ্যপাল সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই হাজার হাজার মানুষ ফোনে অভিযোগ করছে। বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে বাইক বাহিনী ঘুরছে। আমাদের বহু ঘরছাড়া প্রার্থী পার্টি অফিস বা অন্যত্র আছেন। এটা প্রশাসন মানতেই চাইছে না।
ওরা এটাকে শান্তিপূর্ণ ভোট বলে চালাতে চাইছে। রাজ্যপাল এরকম একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই তৃণমূল আপত্তি তুলছে। বিরোধী বা সাধারণ মানুষের অভিযোগ করার বা সমস্যা জানানোর জায়গা নেই। সরকার কথা শোনে না। যার শান্তি রক্ষার কাজ সে অশান্তি করছে। মানুষ যাবে কোথায়? বাধ্য হয়ে রাজ্যপালের কাছে যেতে হচ্ছে।