নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তুললেন অধীর
নিউজ ডেস্ক::কোনো বদল নেই, পশ্চিমবঙ্গ আছে পশ্চিমবঙ্গেই। সেই একই ছবি! ভোট মানেই সন্ত্রাস, রণক্ষেত্র, রক্তপাত আর খুন। পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত নয় আদৌ। আরও একবার প্রমাণিত তা। এই অবস্থায় অধীর চৌধুরী দাবি তুললেন যদি কোনো আইন থাকে যেখানে সন্ত্রাস হবে, সেখানে বন্ধ হোক ভোট।
রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি তুললেন ভোট বন্ধ করে দেওয়ার। অধীর চৌধুরী বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত বাংলায়। কারণ ভারতবর্ষের অনেক নির্বাচন হয়, কিন্তু কোথাও এত রক্ত ঝরে না, এত প্রাণ যায় না।
তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গ এমন এক রাজ্য যেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন একটি অভিশাপ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার স্থানীয় নির্বাচন পঞ্চায়েত নির্বাচন করার মতো অবস্থায় নেই। তাই এই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়াই উচিত ছিল। আগামীদিনে বিচারপতিদের এই বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।
অধীর বলেন, বাংলার মানুষের পক্ষ থেকে তাঁদের সুরক্ষা চেয়ে বিচারপতিদের কাছে আবেদন করেছিলাম রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। যেভাবো মনোনয়ন পর্ব থেকে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হচ্ছে। ভোটের আগের দিন পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণ চলে গিয়েছে, এরপর মানুষের অধিকার রয়েছে ভোট বন্দের আবেদন জানানোর।
মানুষের জীবনের থেকে বড়ো কিছু নয়। যেভাবে খোলামকুচির মতো মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাতে বিচারপতিদের এবার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রাজ্য সরকার মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। সেই কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন পের ভোট বাতিলের দাবি তুললেন অধীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের আশা ছিল এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মা মাটি মানুষের নেত্রী বাংলার মা মাটি মানুষকে বরাভয় দেবেন। তাঁর নেতৃত্বে নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে মানুষ ভোটদানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন গ্রামীণ উৎসব হিসেবে পালিত হবে। কিন্তু না বাংলার সরকার সেই অন্ধকার অবস্থা থেকে নিজেদের ফেরাতে পারল না।
অধীরের কথায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিবেকের অনুভূতি নেই, গণতন্ত্রের বাণী তিনি শুনতে চান না। তাই যথারীতি গতবারের মতো এ বছরও সারা বাংলাজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রাস, খুন, মৃত্যু, গোলাগুলি চলছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা জিজ্ঞেস করতে চাইছি, আর কত মৃত্যু আর কত রক্তপাত প্রয়োজন হবে আপনার! এবার তো বন্ধ করুন এই সন্ত্রাস ।