পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩ ১৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হলো আজকের রক্তক্ষয়ী নির্বাচন
নিউজ ডেস্ক::ভোট শেষ। মৃত্যু ১৫ জনের। শেষ পর্যন্ত ভোট পড়লো ৬৬.২৮ শতাংশ, কমিশনারের নিশানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের দিন একাধিক প্রাণহানির ঘটনা রাজ্যে। সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ জেলা ৷ খুনের পাশাপাশি ছাপ্পার অভিযোগও উঠেছে অনেক জেলায় ৷ তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জানুবসান ৯৩ ও ৯৫ নম্বর বুথে দুপুরের পর উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি, আরএসপি, এসউইসিআই-সহ তৃণমূল বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল ৷ কিন্তু দুপুরের পর তৃণমূলের লোকজন ওই ভোটকেন্দ্রে এসে দুটি বুথে অবাধে ছাপ্পা মারতে থাকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে তৃণমূলের বিরোধী দলগুলো বুথে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তাদের শারীরিক নিগ্রহ, এমনকী মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। তারপরই জেলা পরিষদের প্রার্থী বামদেব গুছাইতের নেতৃত্বে রাজ্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি নেয় বিজেপি, আরএসপি, এসইউসিআই-সহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। আজকের ভোটে সব দলকেই ছাপ্পা ভোট দিতে দেখা গেছে।
নদিয়ায় গুলি চালাল কেন্দ্রীয় বাহিনী! নদিয়ার হাতিশালায় শূন্যে গুলি বাহিনীর! গুলিচালনার রিপোর্ট তলব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৷ মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার সদানন্দপুর এলাকায় হরিহরপাড়ার বিধায়কের গাড়িতে বোমা এবং ৭০ নম্বর মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী জিল্লার রহমান-সহ একাধিক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে।
কাঁকসার গোপালপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়াকড়িতে প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতেই পারছেন না বলে অভিযোগ প্রার্থীদের ।
তৃণমুল প্রার্থী চন্দনা পাল বলেন “কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের ভিতর প্রার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে না । অথচ অন্য বুথে সব দলের প্রার্থীরা প্রবেশ করতে পারছে । প্রার্থী অভিযোগ করছেন ভিতরে কী হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না । ভোটাররা জানাচ্ছেন কোনও সমস্যা নেই, ভোট চলছে শান্তিতে । পঞ্চায়েত ভোটের দিনই নিহত ১৫ ৷ ভোটের দিন নিহত ১০ তৃণমূল কর্মী ৷ নিহতদের মধ্যে বিজেপি- ২, সিপিআইএম- ২ এবং কংগ্রেসের ১ জন ৷