অধরা রইল ছাত্রনেতা আনিসের স্বপ্ন

0 0
Read Time:3 Minute, 8 Second

নিউজ ডেস্ক::ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয় বাংলা! এনসাফ চেয়ে পথে নামে নাগরিক সমাজ। দিনের পর দিন আদালতের দরজায় ঘুরেছেন আনিসের বাবা। সময় গড়িয়েছে! কিন্তু বিচার হয়নি।

তদন্তও চলছে ধীর গতিতে। এই অবস্থায় বদলের স্বপ্ন দেখেছিল আনিসের পরিবার। আর তাই এবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রয়াত ছাত্রনেতার দাদা সামসুদ্দিন খানকে প্রার্থী করে সিপিএম। আমতা দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ৪১ নম্বর আসনে প্রার্থী হন আনিসের দাদা।

আর প্রার্থী হয়ে ভাই আনিসের স্বপ্ন পূরণে লক্ষ্য নেন। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হল না। হেরে গেলেন সামসুদ্দিন। তৃণমূল প্রার্থীর কাছে বড় হার তাঁর। যদিও সামসুদ্দিনের হারের কারন তৃণমূলের দেদার ছাপ্পা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাম নেতৃত্বের। এক সিপিএম নেতার দাবি, ভোট ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় সর্বত্র আতঙ্কের পরিস্থিতি ছিল। মানুষকে ভয় দেখানো থেকে শুরু করে বোমাবাজি। একের পর এক ঘটনা ঘটেছে।

এমনকি ভোটের দিনে ব্যাপক ছাপ্পা-বুথ জ্যাম করা হয়েছে বলে অভিযোগ বামেদের। আর সেই কারনেই সামসুদ্দিনের হার বলেই মনে করছেন তাঁরা। যদিও ফল প্রকাশের পর থেকে প্রয়াত ছাত্রনেতার পরিবারকে দেখা যায়নি প্রকাশ্যে। তবে নাম ঘোষণার পরেই সামসুদ্দিন একেবারে তৃণমূল স্ত্ররে প্রচার চালান। এমনকি আনিসের বাবাকে দেওয়াল লিখন করতে দেখা যায়।

আনিসের বাবা সালেম খান জানিয়ে ছিলেন, ছেলে সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতেন। আর সেই স্বপ্ন বাস্তব করতে দাদা রাজনীতিতে নেমেছেন বলে জানান সালেম খান। কিন্তু কয়েকটি ভোটে সব শেষ।

বলে রাখা প্রয়োজন, হাওড়ার আমতা এলাকার ছাত্রনেতা আনিস খান। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে আমতার কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন আনিস খানের মামা সাবির খান। তিনিও হেরে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বড় জয় পেয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!