প্রাত:ভ্রমণে বিজেপির দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা

0 0
Read Time:7 Minute, 1 Second

নিউজ ডেস্ক::বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাত:ভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

প্রাত:ভ্রমণে বিজেপির দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা।

এখনও পর্যন্ত অসমর্থিত ভাবে মৃত ৪৭, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১৯

উনি সব দেখতে পাননা, শুনতে পাননা। যতটা দৃষ্টি বা বোঝার ক্ষমতা, ততটাই বলছে। বাস্তব যেটা, যেটা মিডিয়া তুলে ধরছে, সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। উনি কাল বলেছেন, আমার কি দোষ? ৪৭ জন করে যাওয়ার পরেও যদি দোষ দেখতে না পান, বা অনুভব করতে না পারেন তাঁর কি ত্রুটি, তাহলে তো আমরা ভগবান ভরসায় বেঁচে আছি। এমন লোককে দায়িত্ব দিয়েছি যার চোখ নেই, কান নেই, কিছু বুঝতেও পারেন না। নিজের দোষ ছাড়া আর সব দেখতে পান, এরকম লোকের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না।

হাইকোর্টের তোপে কমিশন

এই কমিশনার যবে থেকে নিযুক্ত, তবে থেকেই বিতর্কে। আর নিয়মিত কোর্টের ধমক খেয়ে যাচ্ছেন। তার কোনো পরিবর্তন নেই। উনি ভোটের আগে এবং ভোটের পরেও একইরকম আছেন। কথা বললে উত্তর না দিয়ে নির্বাক হয়ে যান। বোঝাই যাচ্ছে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে তাকে কমিশনার করা হয়েছিল সেটাই উনি করতে বাধ্য হয়েছেন। ওনার কোনো রোল ছিল না। উনি রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। যারা পরিচালনা করছেন, তারাও বলছেন, আমাদের কোনো দোষ নেই।

কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও ভাঙড়ে অশান্তি

বাহিনীর যিনি প্রমুখ, তিনি আগেই বলেছেন, তার কাছে স্পর্শকাতর বুথের লিস্ট ছিল না। কোথাও যেতেও বলা হয়নি। ওনারা নিজে থেকে কিছু জায়গায় গেছেন। এদের অনীহা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীতে। তাই সেখানে পাঞ্জাব পুলিস ছিল। পুলিশকে কেনা যায়, বেচা যায়। সেজন্যই হয়তো অন্য রাজ্য থেকে পুলিস এনে ওখানে বসানো হয়েছিল। তারা নির্বাক হয়ে ছিল। দর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল।

রাজভবনের পিস রুমে ৭৫০০ অভিযোগ। আদালতে পেশের নির্দেশ

ভাবুন একবার! ৬২ হাজার বুথে ভোট। তারমধ্যে শুধু রাজভবনেই অভিযোগ সাড়ে ৭ হাজার। এরকম হাজার হাজার অভিযোগ কমিশনের কাছে বা বিডিওর কাছেও এসেছে। সুরাহা হয়নি। অভিযোগ স্বীকার করাও হয়নি। গণনার দিন বিডিওরা ফোন নামিয়ে রেখেছেন। ধরেন নি। বলেছেন ডিস্টার্ব করবেন না। ডিএম এর কাছে অভিযোগ এলে তারা বলেছে আমরা বিডিওকে বলে দিয়েছি। যা করার ওরা করবে। এক এক ভোটে ওরা জিতেছে। রি কাউন্টিং দেয়নি। আর ৮৫ ভোটে আমরা জিতেছি, সেখানে রি কাউন্টিং করে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে।

অভিষেক বলেছিলেন নির্দল কে দলে নেব না। কুনাল ঘোষ বললেন, নেব

দলের দুই নেতার দুই মত। আমি প্রথমেই বলেছিলাম, ২০১৮ তে এরকম সব নির্দল পরে তৃণমূল জয়েন করেছিল। অন্য পার্টি থেকে নিচ্ছেন। নির্দল কে নেবেন না কেন? এগুলো শুধু কথার কথা। সবাই ওখানে ফিরে যাবে।

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসলে প্রোভোকেশন এবং প্রোটেকশন টিম?

কেন প্রতিবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসে? এবার তো না হয় বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে, তাই বিজেপি টিম পাঠিয়েছে। মানবাধিকার, মহিলা, শিশু কমিশন আসে কেন? সবাই আসে। আর কেউ এই সরকারের ক্ষেত্রে পজিটিভ রিপোর্ট দেয় না।

*সুজন চক্রবর্তী বলছেন ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২১ শতাংশ ভোট বেড়েছে বামদের,,বিজেপির ৩৮ শতাশ থেকে ভোট কমে ২২ শতাংশ হয়েছে,তৃণমীলে ৫শতাংশ ভোট কমেছে, আসল বিরোধী শক্তি আমরাই, রাজ্য়ে বামেরাই ক্রমশ হচ্ছে

যতই ওরা গায়ের জোরে বলুন, বাম কটা আসন পেয়েছে? কত প্রার্থী দিয়েছিল। সেটা তো মানুষ ঠিক করবে, কে আসল বিরোধি। ৩ বার ওদের সব ভোটে মানুষ হারিয়েছে। তবে হ্যা, ওরা যে এখনও আছে তার প্রমাণ ওরা দিতে পেরেছে।

মৃতদের ২ লাখ ও হোমগার্ড এর চাকরি

এটাই ওনার প্যাটার্ন। খুন করো, চাকরি দাও। যে টাকার থলি নিয়ে উনি বালাসোর গেছিলেন, সেটা কোথায় রেখে এলেন? উনি দেখছিলেন, লাস্ট স্কোর কত হচ্ছে? ৫০ পার হল কিনা? কেউ ওনার টাকা চায়না। স্বজন হারিয়ে কেউ টাকা চায় না। সবাই জীবনের সুরক্ষা চায়। জাস্টিস চায়। আমরা চাইনা কেউ মারা যাক, আর তাকে ক্ষতিপুরণ দিতে হোক।

আজ নজর রাজভবনে

রাজ্য সরকার যখন কারুর কথা শোনে না, তখন ভরসা চলে যায়। আমরাও গেছি। এখনও অনেকে যাচ্ছে। উনি সাংবিধানিক প্রধান। উনি শুধু শোনেন না। মাঠে ময়দানে গিয়ে সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি এখানকার পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকার বা রাষ্ট্রপতিকেও নিশ্চই জানিয়েছেন। তিনি pro active. নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে প্রশাসন। তাই বলে কি কেউ রাস্তায় বেরোবে না? তারা অভিযোগ পর্যন্ত নেন না। ফোন তোলেন না। যিনি কমিশনের ওপরে, যিনি তাকে নিয়োগ করেছেন, তিনিই তো মালিক। তার তো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!