‘প্রশাসনই হারিয়ে দিল’: অভিষেক ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়
নিউজ ডেস্ক::ভোটে সন্ত্রাস থেকে গণনায় কারচুপি! শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব বিরোধীরা। কিন্তু এর মধ্যেও বাংলা জুড়ে সবুজ ঝড়। একের পর এক জেলা পরিষদ-সমিতি শাসকদলের অধীনে।
কিন্তু প্রবল সবুজ ঝড়ে প্রবল ধাক্কা খেলেই শাসক দলের বিদায়ী সহ সভাপতি। পরাজিত হয়ে প্রশাসনকে দুষলেন পান্ডুয়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ।
গণনার দিন ( West Bengal Panchayat Election) সকাল থেকেই রনং দেহি মুডে ছিলেন তিনি। একাই দলীয় কর্মীদের নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান পাণ্ডুয়ার গননা কেন্দ্রে। গেটের সামনে থেকে বিরোধীদের জোর করে সরিয়ে দেন পান্ডুয়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ।
স্লোগান তুলেছিলেন ঠাঁই নেই! কিন্তু তাঁরই যে ঠাঁই হবে না সেই আঁচ করতে পারেননি সঞ্জয় ঘোষ। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হতেই স্পষ্ট সবকিছু। গোটা বাংলা জুড়ে যখন প্রবল সবুজ ঝড় অব্যাহত থাকল তখন সঞ্জয় ঘোষেরই ঠাঁই হলো না পঞ্চায়েত সমিতিতে।
এলাকার বেতাজ বাদশার দাপটে তখনের জন্য বিরোধীরা হার মানলেও মানুষের রায় থামিয়ে দিলো তাকে। অবশেষে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হলো সঞ্জয় ঘোষ। মনোনয়ন পর্বে দেখা যায় দলে তার বিরোধী গোষ্ঠীর প্রায় সব নেতা বাদ।
টিকিট পায় সঞ্জয়ের গোষ্ঠীর লোকজনই। সঞ্জয় নিজে পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হন। বিদায়ী বোর্ডের তিনি সহ সভাপতি ছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ সংরক্ষিত হওয়ায় এবারও ভোটে জিতে সহ সভাপতি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল।
ভোটের ফল বেরোনোর পর আক্ষেপের প্রকাশ করে সঞ্জয় ঘোষ বলেন “প্রশাসন আমায় হারিয়ে দিল”। দাপুটে সঞ্জয়কে যিনি পরাজিত করেছেন সিপিএম এর অনলকান্তি চক্রবর্তীর অবশ্য দাবী প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছে। পান্ডুয়ার বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী যিনি রিটার্নিং অফিসার ছিলেন।
সঞ্জয় তাকে দুষলেও অনল চক্রবর্তী তার প্রশংসা করেন। অনল চক্রবর্তী প্রাক্তন ব্যাংক কর্মী। গত জানুয়ারী মাসে অবসর নিয়েছেন। ব্যাংকে কর্মচারীদের বামপন্থী ইউনিয়ন করতেন। এবারই প্রথম প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এসে নির্বাচনে লড়াই করেছেন। এবার মানুষের জন্য কাজ করতে চান জয়ী বাম প্রার্থী।