বর্ষার নতুন আতঙ্ক আই ফ্লু
নিউজ ডেস্ক::বর্ষা মানেই ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া। হঠাৎ করে এই বছর নতুন উপদ্রব শুরু হয়েছে। ঘরে ঘরে বাড়ছে জয়বাংলার সংক্রমণ। রক্তের মতো লাল হয়ে ফুলে উঠছে চোখ। আলোয় তাকানো যাচ্ছে না। জল পড়ছে ঘনঘন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় গোটা দেশে হু হু করে বাড়ছে কনজাংটিভাইটিসের সংক্রমণ।
চিকিৎসকরা বলছে গোটা দেশে এই বছর ৪০০ শতাংশ বেড়েছে কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) বা আই ফ্লু (Eye Flu) সংক্রমণ। এতে শীর্ষে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে ৬৪ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে। তারপরেই রয়েছে ব্যাঙ্কালোর। সেখানে কনজাংটিভাইটিসের সংক্রমণ ১১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
প্রায় ৪০০ থেকে ৪৩৯ শতাংশ সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকে এর সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছিল। সেটা ধাপে দাপে বাড়তে শুরু করেছে গোটা রাজ্যে। বাড়তে বাড়তে প্রায় ৪৫০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে কনজাংটিভাইটিস বা আই ফ্লু-র সংক্রমণ। চিকিৎসকরা এই সংক্রমণের চিকিৎসায় টেলিমেডিসিনের সাহায্য নিতে বলছেন।
এই আই ফ্লু অত্যন্ত সংক্রামক। চোখ লাল হয়ে যায়। ফুলে ওঠে। সেই সঙ্গে চোখে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। চোখ দিয়ে জ্বল পড়ে। ভাল করে তাকানো যায় না আলোর দিকে। চোখ থেকে ঘন ঘন পিচুটি বেরোতে থাকে। বেশ অস্বস্তিকর পরিস্তিতি তৈরি হয়। অনেক সময় আবার জ্বরও চলে আসছে। শিশুদের মধ্যে এই আই ফ্লু সংক্রমণের প্রবণতা বেশি হয়ে গিয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন এই সংক্রমণ চোখে হচ্ছে বুঝতে পারলেই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোনও ভাবেই নিজে থেকে ডাক্তারি করার চেষ্টা করবেন না। বেশি বাড়াবাড়ি হলে অ্যান্টিবায়োিটক দেওয়া হয়। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা কোনও জিনিস যেন অন্য কেউ ব্যবহার না করেন তাহলেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। কনজাংটিভাইটিসের তেমন কোনও সঠিক চিকিৎসা এখনও আসেনি।
তবে এবার এই ধরনের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করল কেন তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। এর নেপথ্যেও কি জলবায়ু পরিবর্তন রয়েছে তা নিয়ে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব সতর্ক করে জানিয়েছেন গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের পর্যায় শেষ হয়ে গিয়েছে এবার গ্লোবাল বয়েলিং শুরু হয়ে গিয়েছে। সেসময় তিনি সতর্ক করেছেন এই গ্লোবাল বয়েলিংয়ের সময় অসহনীয় হবে গরম, বাড়বে সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ। সেই ইঙ্গিত কি এই কনজাংটিভাইটিস।