ইন্ডিয়া ব্লককে নিশানা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
নিউজ ডেস্ক::ফের একবার বিরোধী ব্লক ইন্ডিয়াকে নিয়ে পরিহাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। এদিন তিনি বলেছেন, ভারত ছাড়ো (Quit INDIA) আন্দোলন স্বাধীনতা অর্জনের দিকে ভারতের পদক্ষেপে নতুন শক্তি পূর্ণ করেছে। এর দ্বারাই অনুপ্রাণিত হয়ে, আজ সারা দেশ বলছে, সব খারাপ ভারত ছাড়ো।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (Amrit Bharat Station Scheme) অধীনে ৫০৮টি রেল স্টেশনের নতুন করে উন্নয়নের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভার্চুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী এই কাজ করেন। আর তারপরেই বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৪২-এর ৯ অগাস্ট।
প্রধানমন্ত্রী মে্াদী বলেছেন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা দিয়েছিল। আর আজ সেই আন্দোলন দেশ থেকে সব মন্দাকে মুছে ফেলতে দৃঢ়় প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, সব জায়গায়ই একটাই আওয়াজ দুর্নীতি ভারত ছোড়ো, রাজবংশ ভারত ছাড়ো। তুষ্টি, ভারত ছাড়ো।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন বিরোধীদের পুরনো উপায়ের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিরোধীরা যেমন নিজে থেকে কিছু করে না, আবার অন্যকে কাজ করতেও দেয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশ আধুনিক সংসদ ভবন তৈরি করেছে। সংসদ ভবন গণতন্ত্রের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, নেতিবাচক রাজনীতিক ঊর্ধ্বে উঠে আমরা এগিয়ে চলেছি। মিশন হল ইতিবাচক রাজনীতির পথ।
দেশের সংসদে ক্ষমতাসীনদের পাশাপাশি বিরোধীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। বিরোধীরা একটা সময় নতুন সংসদ ভবন তৈরির বিরোধিতাও করেছিল বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭০ বছর ধরে দেশের বীর সন্তানদের জন্য একটিও যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভও তৈরি করেনি। আর সরকার যখন তা তৈরি করেছে, তার সমালোচনা করতে লজ্জা বোধ হয়নি তাঁদের।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন সারা দেশে মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। মেগা প্রকল্পে পুনর্নির্মানের তালিকায় থাকা ৫০৮ টি স্টেশনের মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের ৫৫ টি করে, বিহারে ৪৯, মাহারাষ্ট্রে ৪৪টি, পশ্চিমবঙ্গে ৩৭ টি, মধ্যপ্রদেশের ৩৪, অসমে ৩২, ওড়িশায়২৫, পঞ্জাবে ২২, গুজরাতে ২১, তেলেঙ্গানায় ২০, ঝাড়খণ্ড-অন্ধ্রপ্রদেশ-তামিলনাড়ুতে ১৮টি, হরিয়ানায় ১৫ টি এবং কর্নাটকে ১৩টি।
৫০৮টি স্টেশনের পুনর্নির্মাণে ব্যয় করা হবে ২৪, ৪৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা প্রদান করা হবে। স্টেশনের নকশা করা হবে স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর স্থাপত্যের ওপরে নির্ভর করে।