পথের পাঁচালির জন্য কিশোর কুমারের কাছে টাকা ধার করেছিলেন সত্যজিৎ রায়
নিউজ ডেস্ক::শিল্পীরাই শিল্পীদের বোঝেন। তাঁদের মধ্য আত্মিক একটা যোগ যাতে। সেই যোগেই হয়তো নিজের স্বপ্নের প্রোজেক্টকে সেলুলয়ের তুলে ধরতে কিশোর কুমারের সাহায্য চেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। বাবার পুরোনো আলমার দেরাজ থেকে একটি পুরনো িচঠি পেয়েছিলেন সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায়।
১৯৬৩ সালের লেখা সেই চিঠি। কিশোর কুমার চিঠিটি লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায়কে। সেই চিঠিতে দুই শিল্পীর আত্মিক সম্পর্কের কথা জানা যায়। সত্যজিৎ রায়ের চারুতলা ছবিতে গান গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। কিন্তু প্রথমে সেই ছবির গােনর রেকর্ডিং করতে আসতে পারছিলেন না কিশোর কুমার।
সেকারণে তিনি িচঠি লিখে সত্যজিৎ রায়কে লিখেছিলেন যে, তিনি ভীষণভাবে তাঁর ছবিতে গান গাইতে ইচ্ছুক কিন্তু কিছুতেই সময় করে উঠতে পারছেন না। কারণ তার জন্য মুম্বই থেকে কলকাতায় আসতে হতো তাঁকে। কিন্তু তিনি এতোটাই শ্যুিটংয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন যে কিছুতেই কলকাতায় আসার সময় করে উঠতে পারছিলেন না।
ছেলে অমিত কুমারকে দিয়ে সেই চিঠি তিনি পাটিয়েছিলেন সত্যজিত রায়ের কাছে। তার পাল্টা চিঠিতে সত্যজিৎ রায় জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে যদি যান গানটি রেকর্ডিংয়ের জন্য। চারদিনেই গানের রেকর্ডিং হয়ে যাবে। বেশি সময় লাগবে না। যদি তিনি রাজি হন তাহলে তাঁর থাকার সব ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন। ১৯৬৩ সালে ৪ নভেম্বর চিঠিটি লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
তারপরেই ডিসেম্বরে সত্যজিৎ রায় সস্ত্রিক পৌঁছে গিয়েিছলেন কিশোর কুমারের বাড়িতে মুম্বইয়ে। সেখানে গান রেকর্ডিং করে ফিরে আসেন তিনি। এমনই ছিল তাঁদের সম্পর্ক। শিল্পীদের সম্পর্ক যেন এরকমই হয়। কয়েক বছর আগে টেলিভিশনের একটি সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, সত্যজিৎ রায় তাঁর কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ধার করেছিলেন।
পথের পাঁচালি তৈরির সময় টাকার সংকট তৈরি হয়েছিল সেসময় সাহায্য করেছিলেন কিশোর কুমার। শিল্পী ঠাট্টা করে বলেছিলেন, পথের পাঁচালির মতো ঐতিহাসিক ছবি তৈরিতে তাঁর কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। যদিও পরে সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। কিশোর কুমার বলেছিলেন আমি জানতাম সত্যজিৎ রায় ঠিক সেই টাকা ফিরিয়ে দেবেন। এবং ফিরিয়েও দিয়েছিলেন।