প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আগামী ১০ বছরে ভারত হয়ে উঠবে সম্পূর্ণ ‘আত্মনির্ভর ভারত’
নিউজ ডেস্কঃ ১৯৪৭ সাল থেকেই ভারতের সার্বভৌমত্ব ছিল চ্যালেঞ্জের মুখে। একদিকে পাকিস্থান ও অপরদিকে চিন। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রতিরক্ষা বিষয়ে ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী ও আত্মনির্ভর। সম্প্রতি দেশীয় শিল্পক্ষেত্র থেকে ২৭,০০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়ে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদ – ডিএসি অনুমোদন দিয়েছে। এই পদক্ষেপ অবশ্যই সরকারের “মেক ইন ইন্ডিয়া” এবং “আত্মনির্ভর ভারত” উদ্যোগকে উৎসাহ দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ১২ই মে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি গত ফেব্রুয়ারি মাসে লখনৌএ একাদশ প্রতিরক্ষা এক্সপোর উদ্বোধনে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি আগামী ৫ বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন। তিনি বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
এর ফলে দুটি উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব। বিনিয়োগের থেকে যথেষ্ট ভালো ফেরত পাওয়া এবং এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম এই অর্থনীতিকে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বাবলম্বী করে তোলা। সম্প্রতি ভারত সরকারের অর্থ বিষয়ক কমিশন বলেছে,সামরিক সরঞ্জামের জন্য আমদানির উপর নির্ভরশীল দেশ কখনই শক্তিশালী হতে পারে না। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা খাতে স্বাবলম্বী হওয়া দেশের সঙ্গে ‘আত্মসম্মান’ এবং ‘সার্বভৌমত্ব’এর সঙ্গে যুক্ত – ভারতের স্বনির্ভর হওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে এই ভাবনা। এই কারণেই এর আগে সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত হালকা যুদ্ধের হেলিকপ্টার, সাবমেরিন এবং ক্রুজ মিসাইল সহ ১০১টি অস্ত্র ও সামরিক প্ল্যাটফর্ম আমদানিতে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই সিদ্ধান্তের ফলে, ভারতে প্রতি বছর ৫২ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে।