বিদ্যুতের বিদায় – উল্লসিত বিশ্বভারতীর একাংশ
নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিলেন ৮ নভেম্বর (বুধবার )। তিনি প্রায় প্রথম দিন থেকেই কোনো না কোনো বিতর্কের মধ্যে ছিলেন।
একাধিক বিষয়ে আশ্রমিক, রাজ্য সরকারের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল তাঁর। এমনকি তাঁর আমলে বিশ্বভারতীয় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষও দেখা গিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। সব মিলিয়ে বুধবার শেষ হল উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুতের বর্ণময় অধ্যায়। নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনকে নিয়ে তাঁর বিতর্ক দেশে বিদেশে প্রচারিত হয়েছে।
বিদ্যুতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে উঠে এসেছে সঞ্জয় কুমার মল্লিকের নাম। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্বভারতীর দায়িত্বভার তিনি সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে।
উপাচার্য বিদ্যুতের বিদায়বেলায় রীতিমতো মিষ্টি বিতরণ করা হল বিশ্বভারতীতে। অধ্যাপকদের একাংশই এই মিষ্টি বিতরণ করেছেন। বিদ্যুতের বিদায় নিয়ে বেশ উল্লসিত দেখিয়েছে তাঁদের। তবে অনেকেই মনে করছেন, বিদায় বেলাটা তিক্ততা ভুলে আরেকটু মাধুর্য থাকলে ভালো হতো।
অধ্যাপকদের একাংশ তো তাঁর বিদায়ের আনন্দে উদ্বেলিত। অধ্যাপকদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিককে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি লেখা হয়েছে, “শুধুমাত্র কাগজের পরিবর্তে ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভাবার অনুরোধ রইল।” এবার শুরু হলো রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীর নতুন অধ্যায়। তাঁকে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসক দল। বোলপুরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষের খবর ছড়াতেই মিষ্টিমুখ শুরু হয়েছিল বিশ্বভারতীর অন্দরে। বিদ্যুৎ বিশ্বভারতী চত্বর ছাড়তেই মৃতদেহের প্রতিকৃতি সাজিয়ে বাঁশের মাঁচাতে করে কৃষ্ণ নাম সহকারে শোভাযাত্রা বের করা হল। এই সংস্কৃতিকে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা কখনোই সমর্থন করেন না। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়।