কন্যাশ্রী দিবসে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের

0 0
Read Time:3 Minute, 10 Second

নিউজ ডেস্কঃ কন্যাশ্রী দিবসেই বড় পদক্ষেপ করল তৃণমূল কংগ্রেস। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি পদে বসানো হলো দুই নারীকে।

জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন কৃষ্ণা রায় বর্মণ। সহ সভাধিপতি হলেন সীমা চৌধুরী।

বাম রাজনীতিতে হাতেখড়ি কৃষ্ণা রায় বর্মণের। তাঁর হাত ধরেই ২০১৫ সালে জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতি বামেদের হাত থেকে নিজেদের দখলে নিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াকু নেত্রী কৃষ্ণা রায় বর্মণের উপরেই সভাধিপতি পদে আস্থা রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৪ আসনের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে ২৪টি আসনই দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিরোধীশূন্য জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবেন তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। আজ যে ১১টি জেলা পরিষদে সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতিদের নাম ঘোষণা হয়েছে তৃণমূলের তরফে তাতে একমাত্র জলপাইগুড়িতেই এই দুটি পদে বসানো হয়েছে দুই মহিলা নেত্রীকে। আজ জেলা পরিষদের পেক্ষাগৃহে শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেবের উপস্থিতিতে সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতির নাম ঘোষণা করা হয়।

সীমা চৌধুরী বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। বানারহাট জেলা পরিষদের আসন থেকে এবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এদিন জেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত জয়ী প্রার্থীরা পেক্ষাগৃহে শপথ গ্রহণ করেন। সকলের সুবিধার্থে দুটি প্রজেক্টর বসানো হয় পরিষদ চত্বরে। দলের কর্মীরা সরাসরি শপথ পাঠ দেখেন।
কৃষ্ণা রায় বর্মণ বলেন, আগে পঞ্চায়েত সমিতিতে কাজ করেছি। এবার দায়িত্ব বাড়ল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রকল্পগুলির পরিষেবা উপভোক্তাদের কাছে যাতে সঠিকভাবে পৌঁছয় তা নিশ্চিত করতে সকলকে নিয়ে কাজ করব। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাস্তা-ঘাটের মতো বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দায়িত্বভার নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার কথা জানিয়েছেন সহ সভাধিপতিও।

এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির কাছ থেকে আসন কেড়ে নিতেও আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতৃত্ব।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!