সিপিএম জোটে আছে কিন্তু ইন্ডিয়ার শরিকদের সঙ্গে ভোটে নেই

0 0
Read Time:4 Minute, 12 Second

নিউজ ডেস্কঃ সিপিএম ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেবে, কিন্তু সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দেবে না। কারণ তারা জোটে থাকলেও ভোটে একসঙ্গে লড়ার পক্ষপাতী নয়। এ ব্যাপারে পলিটব্যুরোর বৈঠকে তারা সিদ্ধান্তও নিয়ে নিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে ইন্ডিয়া জোটের।

সিপিএম ১৪ সদস্যের কমিটিতে নিজের দলের কোনও সদস্যের নাম দেয়নি। শেষপর্যন্ত সিপিএম কোনও নাম না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, তারা জোটে থাকবে কিন্তু ভোটে একসঙ্গে লড়বে না। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তারা সমঝোতা করে ভোটে লড়তে পারবে না বাংলায়।

তেমনই কেরলেও কংগ্রেসের হাত ধরে ভোটে লড়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কেরলে কংগ্রেস ও সিপিএম প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই সমস্যা আবার ত্রিপুরার ক্ষেত্রে নেই। মূলত এই তিন রাজ্যেই সিপিএম রয়েছে। সিপিএম তাই কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে একাসনে দাঁড়িয়ে ভোটে লড়ার পক্ষপাতী নয়।

তবে বিজেপি বিরোধিতায় তারা কংগ্রেস-তৃণমূলসহ অন্যান্য সমস্ত দলের সঙ্গে জোটবদ্দ হয়ে আন্দোলনে রাজি। এমনকী সরকার চালাতে বা সমর্থন দিতেও তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল এবং কেরলে কংগ্রেসের হাত ধরে তারা ভোটে লড়তে অরাজি।
বিজেপি বিরোধিতায় সর্বভারতীয় স্তরে তাঁরা ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেই থাকবে। অর্থাৎ সিপিএম বিরোধী জোটের অংশ থাকবে। শুধু বাংলা ও কেরলের মতো রাজ্যগুলিতে তাঁরা নির্বাচনে আসন সমঝোতার পথে হাঁটবে না। তাই কমিটির মূল কাজ যখন আসন সমঝোতা, সেখানে থাকবে না সিপিএম।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সিপিএমের পলিটব্যুরো শনিবার এবং রবিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটিতে না থাকার। সিপিএমের পক্ষে জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়া জোটকে আরও প্রসারিত করার এবং এই প্রচেষ্টায় জনগণের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা করা উচিত।

সিপিএম মনে করছে সমস্ত সিদ্ধান্ত একটি কমিটির সিদ্ধান্ত দ্বারা নেওয়া ঠিক নয়। এই জাতীয় সিদ্ধান্ত প্রতি পদক্ষেপে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে পলিটব্যুরো একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি পাটনা, বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের তিনটি বৈঠকেই অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে সমন্বয় কমিটির বৈঠকে সিপিএমের কেউ অংশগ্রহণ করেননি।

সিপিএম মনে করে, ২০২৪ সালে আসন ভাগাভাগি রাজ্যের পরিস্থিতি বিচার করে করা উচিত। যেখানে আসন ভাগাভাগি প্রভাব ফেলবে নেতা-কর্মীদের মনে, সেখানে আসন ভাগাভাগি না করে একক লড়াই-ই শ্রেয়। তাতে দলের গঠনতন্ত্প্র ঠিক থাকবে। সেই কারণে সিপিএম নেতারা সব সময় বলে আসছিলেন যে জোটের মধ্যে সমন্বয় কমিটির মতো আলাদা রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের দরকার নেই।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!