মহালয়া, কিভাবে এবং কেন পালন করা হয়?
নিউজ ডেস্কঃ মহালয়ার ইতিহাস ও তাৎপর্য এবং জানুন মহালয়া কেন পালন করা হয়? বিধি কি? কিভাবে শুরু হয়েছিল।
কাশফুলের বনে হাওয়া লেগে ঢেউ খেলে যাচ্ছে। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। নীল আকাশের মাঝে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভেসে যাচ্ছে। আর তো বেশি বাকি নেই পুজোর, তাইনা! মহালয়ার (Mahalaya) দিন থেকেই তো শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষ, তাই মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর আনন্দটা।
একটা একটা করে দিন পার হয় পুজোর দিকে এগোনোর জন্য। মহালয়ার দিন ভোরে মহিষাসুরমর্দ্দিনীর কাহিনী সবাইকে একেবারে মুগ্ধ করে দেয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য দেবীর আগমনী বার্তা মহালয়ার দিন থেকে শুরু হয়ে যায়। এই দিন বিশেষভাবে সবাই অপেক্ষা করে থাকে মহালায়া দেখার জন্য।
ছোটবেলায় মহালয়ার দিন ভোর থেকেই রেডিওতে মহালায়া এবং একটু পরেই টিভিতে দেখা ছিল এক আলাদা আনন্দের বিষয়। তবে আজও একটি আলাদা আনন্দ বহন করে।
বাঙালি হিন্দুদের কাছে যে বিষয়টির জন্য মহালয়ার দিনটি অপরিসীম সেটা হল মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রপাঠ শোনা। শরীরে শিহরণ জাগানোর মত এই কণ্ঠস্বর সবাইকে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে বাধ্য করবেই।
আর তারপর থেকেই পুজো পুজো ভাব জেগে ওঠে বাঙ্গালীদের মধ্যে। তাছাড়া এটি ঐতিহ্যপূর্ণভাবে বাঙালিরা আজও পালন করে আসছেন। এককথায় দুর্গাপুজোর আভাস মেলে মহিষাসুরমর্দিনীর এই বেতার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তাছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই দিনে রীতি নিয়ম মেনে দেবী দুর্গার চোখ আঁকা হয়। যাকে চক্ষুদানও বলা হয়ে থাকে।