ভারত কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে ভারতে ডালের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা
নিউজ ডেস্কঃ কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের হাত থাকার অভিযোগ আনার পরেই ভারত কানাডার সম্পর্ক চূড়ান্ত পর্যয়ে যায়। G20 সম্মেলনে এর একটা আভাস পাওয়া গিয়েছিলো। তারপরেই কানাডা সোজাসুজি ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। কাল বিলম্বিত না করে ভারত টা অস্বীকার করে। তারই জেরে দুই দেশের কুটনিতিকদের নিজেদের দেশে পাঠানো হয়। এবার দেখা যাচ্ছে, বাণিজ্য তার প্রভাব পাড়তে চলেছে। গত কয়েকদিন ধরেই ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চরমে উঠেছে। দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) সাফ জানান, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই সেদেশের তদন্তকারীদের অনুমান। এই দাবির পক্ষে প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান এক আধিকারিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। কানাডার এহেন অভিযোগের পালটা জবাব দিয়ে কানাডার এক কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে দেশে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি।
বাণিজ্যর ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হবে ভারত। ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের তিক্ততার রেশ পড়তে পারে আমজনতার হেঁশেলে? সেরকমই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই দেশের টানাপোড়েনের জেরে ভারতে ডাল রপ্তানি বন্ধ করতে পারে কানাডা। তার ফলে দেশীয় বাজারে ডালের দাম বাড়বে বলেই অনুমান। প্রসঙ্গত, দেশীয় চাহিদা পূরণ করতে কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণে ডাল আমদানি করে ভারত। কানাডা থেকে ডাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে দেশের বাজারে ডালের দাম বাড়বে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়াতে পারে এই ইস্যু। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন কানাডা থেকে আমদানি বন্ধ করার কথা ভাবছে না কেন্দ্র সরকার।