বন্যা রায়গঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়
নিউজ ডেস্কঃ রায়গঞ্জ: আগ্রাসী চেহারা নেওয়া কুলিক নদীর পাশাপাশি জল বেড়ে যাওয়ায় ফুঁসছে নাগর নদী। গত কদিন আগের প্রবল বর্ষনে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বাড়িঘরে জল ঢুকে পড়েছে। ভেসে গিয়েছে ফসলের ক্ষেত। এই অবস্থায় চরম অসহায় হয়ে পরেছে বন্যা কবলিত এলাকার সাধারন মানুষজন। সামনেই দুর্গাপুজো তার আগে এই বিপর্যয়ে মাথায় হাত কৃষক পরিবারগুলির। রায়গঞ্জ ব্লকের একাংশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে নাগর নদী। গত কদিনের একটানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে নাগরে। আর নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে ব্লকের ৮ নং বাহিন ও ৯ নং গৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। মূলতঃ ট্যাগরা, কুমারজোল, ভিটিয়ার, দুবদুয়ার, অনন্তপুর, নিমতলা, কালিটোলি, টুনিভিটা সহ একাধিক গ্রাম জলের তলায়। বিঘার পর বিঘা কৃষি জমিও জলে ক্ষতিগ্রস্ত।
এই সময় মূলতঃ ধানের চাষ হয় এই এলাকাগুলিতে। যা প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত। সেই সোনার ফসল এখন মৃতপ্রায়। শুধু তাই নয় বাড়িঘরে জল ঢুকেছে। এই অবস্থায় অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। রান্নাবাড়ি কিংবা গবাদি পশুদের প্রতিপালনে পোহাতে হচ্ছে দুর্দ্দশা। অনেকেই ঋন নিয়ে চাষ করেছিলেন। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন কিভাবে ক্ষতি ঢাকবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক পরিবারগুলি। রাজকুমার দাস নামের এক কৃষক জানান, প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমির ধান জলের তলায়। সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আরও বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। গরিব দুস্থ পরিবারের এই মানুষগুলি এখন অথৈ জলে। সরকারি সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তারা।
একইভাবে উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে আহাদ আলী নামের এক কৃষক ও তার পরিবারের। তিনি জানান, পরিস্থিতি খুব খারাপ। সমস্ত ধান একেবারে শেষ। ক্ষতির মুখে ১২টি গ্রামের সাধারণ মানুষ। সকলকেই নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যেতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হল এখনো পর্যন্ত সরকারি কোন প্রতিনিধি পরিদর্শনে আসেননি বলে অভিযোগ তার। মেলেনি ত্রান সামগ্রীও।
এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মন্ডলের সাথে। তিনি জানান, নদীর জল বৃদ্ধিতে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। জলমগ্ন এলাকাগুলি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। সরকারিভাবে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। চিঠি দেওয়া হয়েছে সেচ দফতরকেও।