মহাত্মার অহিংসার পথেই অভিষেক
নিউজ ডেস্ক::গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লির রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দু’দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি দিল্লিতে। দলের কর্মী- সমর্থকরা দিল্লি পৌঁছাতেই হাজির হয়ে গেল দিল্লি পুলিশ। তৃণমূলের নেতারা দাবি করছেন, অমিত শাহের পুলিশ চলে এসেছে খোঁজখবর করতে। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়।
বিশেষ ট্রেন পাওয়া যায়নি। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লি যাওয়ার বেসরকারি বিমানও বাতিল হয়ে যায়। তৃণমূল কর্মী- সমর্থক, একশো দিনের কাজের জবকার্ড হোল্ডাররা বাসে দিল্লি সফর করেছেন। সোমবার ভোররাত থেকে একে একে বাস ঢুকতে শুরু করে রাজধানী দিল্লিতে। নির্দিষ্ট জায়গায় বাস থামলে নামতে থাকেন দলীয় কর্মী- সমর্থকরা৷
সোমবার সকালেই নতুন এক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লির আম্বেদকর ভবনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া বাসযাত্রীদের রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানেই তারা থাকবেন। খাওয়াদাওয়া করবেন। বাস সেই ভবনের সামনে দাঁড়াতেই হাজির দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের একটি দল আম্বেডকর ভবনে পৌঁছে যায়।
দিল্লিতে কতজন বাসযাত্রী এসেছেন। কতগুলো বাস এসেছে, আর কটি বাস আসতে পারে, সেইসব বিষয়ে প্রশ্ন চলতে থাকে। এইসব বিষয়ে একাধিক তথ্য সংগ্রহ করে তারা। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। তাহলে কি অমিত শাহের পুলিশ হঠাৎ করেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল?
দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে আছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সেকেন্ড পার্সেন শাহ। তৃণমূল দিল্লির বুকে দুদিনের কর্মসূচি নিয়েছে। তাহলে কি সেই কর্মসূচিকে আটকানোর কোনও কৌশল নেওয়া হচ্ছে? দিল্লি আসার আগেই একাধিক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের৷ উত্তরপ্রদেশে বাসও আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, জন্মদিনে বাপুকে স্মরণ করছি। মহাত্মা গান্ধীর সত্য ও অহিংসার পথ অতীতকে কেবল তৈরি করেনি। ন্যায় ও সাম্যের সাধনা আগামী দিনের পথকেও আলোকিত করে চলেছে। মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথেই হাঁটার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সেই কারণেই দিল্লির দরবারে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে হাজির তৃণমূল নেতৃত্ব। অবশ্যই এই কর্মসূচিতে নেতৃত্বে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিল্লি পুলিশের সটান হাজির হওয়া প্রসঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তৃণমূল কর্মী- সমর্থকদের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে অমিত শাহের পুলিশ? গান্ধী জয়ন্তীর দিন উদার হওয়ার পরামর্শ দেন নেতারা। সেখানে কি দিল্লি পুলিশের নতুন কোনও পরিকল্পনা আছে?